জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত
Published: 4th, October 2025 GMT
জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ে বাছাইয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দিনব্যাপী ফতুল্লার লালপুরস্থ তাহমিদুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মডেল মাদ্রাসার আয়োজনে এ বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী কুরআনের পাখিদের সুমধুর কন্ঠে কুরআন তেলওয়াতে মুখরিত হয়ে উঠে মাদ্রাসা প্রঙ্গন। জেলায় তিনটি বিভাগে এ তেলওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৪০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি বিভাগ থেকে ১৫ জন করে মোট তিনটি বিভাগ থেকে ৪৫ জনকে বাছাই করা হয়। এবং তাদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ইয়েসকার্ড প্রদান করা হয়।
আল হুফফাজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, হাফেজ শব্দটি বলতে খুব সহজ মনে হয় আসলে হাফেজ হয়েছেন বা হাফেজ হওয়ার জন্য শিখছেন আমি বলব আল্লাহ তায়ালার সরাসরি নেয়ামত না থাকলে তা হওয়া সম্ভব না।যারা আপনারা কুরআনে হাফেজ হয়েছেন বা হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এতো সুন্দর এবং ভালো একটি অনুষ্ঠান আপনাদের এতো হাফেজদের উপস্থিতিতে আপনাদের এখানে আমি উপস্থিত হতে পেরেছি দুটি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি এজন্য আল্লাহতালার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা যারা পড়াশোনা করছেন তারা বিভিন্ন সংস্থা বা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্ব দিবেন। আমি দেখেছি মক্কা মদিনার অনেক মসজিদের ইমাম বাংলাদেশের। দুবাই, কাতার সহ অনেক দেশে মসজিদে তারা নামাজ পড়ান নামাজের সময় বুঝা যায় না তারা বাংলাদেশে কিনা কিন্তু নামাজ শেষে যখন কথা বলে তখন আপনারা বুঝতে পারবেন তারা বাংলাদেশী। আপনারা যারা চেষ্টা করছেন ইসলামকে প্রচার করার জন্য বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুরআনের বার্তাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপনারা তারই অংশ হিসেবে আগামী প্রজন্মের কাছে কুরআনকে সহি শুদ্ধভাবে মুখস্ত করার জন্য। আপনারা যারা কোরআনে হাফেজ হন আমি দেখতে পেয়েছি সেই ভোর থেকে উঠে কুরআন পড়াশোনা করেন আল্লাহ তায়আলা আপনাদের হেফাজত করে।
এ সময় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসা বাইতুল হাফিজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা মশিউর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলানা শাহ-জাহান খান সাঈদ, মাওলানা কারী আবুল কাশেম সাহেব, হাফেজ মাওলানা আবু রায়হান বিন কাশেম, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, আব্দুর রহমান প্রমূখ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ত ক রআন প ল ক রআন উপস থ ত র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতালে শয্যাসংকট, মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হওয়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ও শহরের মণ্ডলপাড়ায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মেডিসিন ও ডেঙ্গু ওয়ার্ডের শয্যার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছেন। শয্যা না পাওয়ায় অনেকে করিডর ও মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শহরের নলুয়াপাড়া এলাকার মুদিদোকানি ইয়াকুব হাওলাদার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শয্যা না পেয়ে হাসপাতালে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইয়াকুবের স্ত্রী আছিয়া বেগম প্রথম আলোকে জানান, শয্যা না থাকায় মেঝেতে কষ্ট করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার ফতুল্লার গেদ্দার বাজার এলাকার ডেঙ্গু রোগী সেলিম মিয়াও শয্যা না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, চার দিন ধরে তাঁর জ্বর, মাথাব্যথা ও বমি হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। গরমের কারণে মেঝেতে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে আগস্ট মাসের তুলনায় দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স শিবলী আক্তার। তাঁর ভাষ্য, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডেঙ্গু রোগীরা আসছেন, তবে শহরের রোগীর সংখ্যাই বেশি।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি অন্য সময়ের তুলনায় খারাপ। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে ওয়ার্ডগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের ভিড়