ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান
Published: 4th, October 2025 GMT
একটি ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীর ছয় সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশ খুজেস্তানে সশস্ত্র হামলা চালানোর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিচার বিভাগ নিজেদের ‘মিজান ওয়েবসাইটে’ জানায়, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীর খুজেস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা (বাহিনীর সদস্যদের) লক্ষ্য করে কয়েক বছরে একাধিক সশস্ত্র আক্রমণ ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এসব ঘটনায় আজ ভোরে ছয়জন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’
যাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাঁদের পরিচয়, গ্রেপ্তার ও রায়ের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
তবে মিজানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁরা জড়িত ছিলেন। নিহত চারজনের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা, বাকি দুজন ‘বাসিজ’ আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
ইরান যেসব গোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসী বলে তকমা দেয়, সেগুলোর সঙ্গে সাধারণত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সম্পর্ক থাকে বলে দাবি করা হয়।
আজ আলাদাভাবে সামান মোহাম্মাদি নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করেছে ইরানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে মোহারেবেহ বা ‘খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’, সন্ত্রাসী এবং তাকফিরি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, তাকফির বলতে বোঝায়, যাঁরা অন্য মুসলমানকে কাফের বা নাস্তিক ঘোষণা দেন।
আজ এসব মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এক সপ্তাহের কম সময় আগে আরেক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকরের কথা জানিয়েছিল ইরান। ওই ব্যক্তিকে ইসরায়েলের শীর্ষ গুপ্তচরের একজন বলে দাবি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনইসরায়েলের এক শীর্ষ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ইরানের২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মতে, ইরানের বর্তমান সরকার প্রধানত ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। দেশটিতে চীনের পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্সে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্স ২০২৫-এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন নির্বাচনের সময়। আমরা প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি একটি বড় প্রয়াস। অভ্যুত্থান থেকে নির্বাচনের পথে যাত্রা। এটি হবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, আনন্দ ও মিলনের সময়। মানুষ তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারবে।’