সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে সম্মত ইসরায়েল: ট্রাম্প
Published: 5th, October 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল তার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় বর্ণিত সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রশাসন এখন হামাসের কাছ থেকে নিশ্চিতকরণের জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি জানিয়েছেন, হামাস যদি সম্মত হয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি ‘তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর’ হবে এবং জিম্মি ও বন্দি বিনিময় শুরু হবে।
ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “আলোচনার পর, ইসরায়েল প্রাথমিক প্রত্যাহার লাইনে সম্মত হয়েছে, যা আমরা হামাসকে দেখিয়েছি এবং তাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি। হামাস যখন নিশ্চিত করবে, তখন যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকর হবে, জিম্মি ও বন্দি বিনিময় শুরু হবে এবং আমরা পরবর্তী পর্যায়ের প্রত্যাহারের জন্য পরিস্থিতি তৈরি করব, যা আমাদের এই তিন হাজার বছরের বিপর্যয় সমাপ্তির দিকে নিয়ে যাবে।”
গাজা যুদ্ধ বন্ধে গত সপ্তাহে হামাসের কাছে নিজের পরিকল্পনা পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুক্রবার রাতে হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে রাজি এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী সব জিম্মি মুক্তির আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। তবে গাজার শাসনভার তারা একটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরব ও ইসলামি সমর্থনে গঠিত স্বতন্ত্র (টেকনোক্র্যাট) ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশুটির কান্না থামছে না
‘রাতে হঠাৎ ঘুমঘুম চোখে কান্না শুরু করে। একবার কান্না শুরু হলে তা আর থামতেই চায় না। তখন মাঝরাতে তাকে বাইরে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘুমায়, ততক্ষণ নিজের সঙ্গে রাখতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে কোনোরকমে মাকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করি। তবে কান্না থামাতে পারছি না।’
কথাগুলো বলছিলেন এক বছরের শিশু সাফওয়ান ইসলামের বাবা মো. ইমন ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভীপাড়া এলাকায় রেললাইনে বিকল হয়ে পড়া একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রেন। এ সময় শিশু সাফওয়ানের মা সানজিদা সুলতানা (২৫) ও নানি মাহমুদা বেগমের (৪৫) মৃত্যু হয়। এর পর থেকে সাফওয়ানকে সারাক্ষণ নিজের কাছে রাখছেন তার বাবা ইমন।
ইমনের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ঘাটগড় এলাকায়। তিনি একটি রড তৈরির কারখানায় ট্রান্সপোর্ট সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। যে জায়গাটিতে দুর্ঘটনা হয়েছিল তা ইমনের শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র চার শ গজ দূরে। পুলিশ জানায়, রেলক্রসিংটি অবৈধ। ঘটনার দিন সেখানে কোনো গেটম্যানও ছিল না।
আমরা কত আনন্দ করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছি। অথচ এক মাস না যেতেই আমার ছেলেটি তার মাকে হারাল। গোছানো সংসারটা যেন তছনছ হয়ে গেল।শিশু মো. ইমন ইসলামের বাবা।গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমনের বাড়িতে স্বজনদের ভিড়। এক পাশে ছেলে সাফওয়ানকে কোলে নিয়ে বসে আছেন তিনি। অনেকেই ছেলের এ অবস্থা দেখে ইমনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন। সাফওয়ান চোখ মেলে আশপাশে তাকিয়ে দেখছে। আর কিছুক্ষণ পরপরই কান্না করছে।
ইমন প্রথম আলোকে বলেন, মা মারা যাওয়ার দিন বাড়িতে অনেক লোকের ভিড় থাকায় সাফওয়ান তেমন কান্না করেনি। তবে রাত হতেই মাকে না পেয়ে কান্না শুরু করে। এর পর থেকে প্রতি রাতেই কান্না করে। দিনের বেলায় বাড়িতে মানুষের ভিড় থাকায় তেমন কান্না করে না। তবে যখন বুকের দুধ খাওয়ার সময় হয়, তখন আর কান্না থামিয়ে রাখা যায় না।
ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভী পাড়া এলাকায়