লা লিগায় আগের ম্যাচে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ৫ গোল খেয়ে হেরে বেশ চাপেই ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই চাপ গতকাল রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে পাওয়া দারুণ এক জয়ে কিছুটা হলেও কমিয়েছে তারা। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পের জ্বলে ওঠার ম্যাচে রিয়াল জিতেছে ৩–১ গোলে।

ম্যাচে রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস, অন্য গোলটি এমবাপ্পের। পাশাপাশি ভিনির একটি গোলে সহায়তাও করেছেন এমবাপ্পে। দলকে জেতানোর রাতে অবশ্য চোট নিয়ে মাঠ ছেড়ে দুশ্চিন্তাও বাড়িয়েছেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।

রিয়ালের হয়ে চলতি মৌসুমটা দারুণভাবে শুরু করেছেন এমবাপ্পে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১০ ম্যাচে তাঁর গোল ১৪টি, সঙ্গে আছে ২টি সহায়তা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলা ১০ ম্যাচের ৯টিতেই গোল পেয়েছেন এই ফরাসি তারকা। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এমবাপ্পের চেয়ে বেশি গোল করেছেন শুধু হ্যারি কেইন। ১০ ম্যাচে কেইনের গোল ১৮টি।

আরও পড়ুনহ্যাটট্রিকে এমবাপ্পের ‘৬০’, চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক কোন দলের০১ অক্টোবর ২০২৫

এমবাপ্পের পাশাপাশি দারুণ ছন্দে আছেন ভিনিসিয়ুসও। রিয়ালের হয়ে লিগে এবারই নিজের সেরা শুরু পেয়েছেন এই উইঙ্গার। লিগের প্রথম ৮ ম্যাচে ৫ গোল ও ৪ সহায়তা করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। এর আগে ২০২১–২২ মৌসুমে প্রথম ৮ ম্যাচ শেষে ৫ গোল ও ২টি সহায়তা করেছিলেন তিনি।

জোড়া গোল করেছেন ভিনিসিয়ুস.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন এমব প প এমব প প র ছ ন এই কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশুটির কান্না থামছে না

‘রাতে হঠাৎ ঘুমঘুম চোখে কান্না শুরু করে। একবার কান্না শুরু হলে তা আর থামতেই চায় না। তখন মাঝরাতে তাকে বাইরে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না ঘুমায়, ততক্ষণ নিজের সঙ্গে রাখতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে কোনোরকমে মাকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করি। তবে কান্না থামাতে পারছি না।’

কথাগুলো বলছিলেন এক বছরের শিশু সাফওয়ান ইসলামের বাবা মো. ইমন ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভীপাড়া এলাকায় রেললাইনে বিকল হয়ে পড়া একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রেন। এ সময় শিশু সাফওয়ানের মা সানজিদা সুলতানা (২৫) ও নানি মাহমুদা বেগমের (৪৫) মৃত্যু হয়। এর পর থেকে সাফওয়ানকে সারাক্ষণ নিজের কাছে রাখছেন তার বাবা ইমন।

ইমনের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ঘাটগড় এলাকায়। তিনি একটি রড তৈরির কারখানায় ট্রান্সপোর্ট সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। যে জায়গাটিতে দুর্ঘটনা হয়েছিল তা ইমনের শ্বশুরবাড়ি থেকে মাত্র চার শ গজ দূরে। পুলিশ জানায়, রেলক্রসিংটি অবৈধ। ঘটনার দিন সেখানে কোনো গেটম্যানও ছিল না।

আমরা কত আনন্দ করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছি।  অথচ এক মাস না যেতেই আমার ছেলেটি তার মাকে হারাল। গোছানো সংসারটা যেন তছনছ হয়ে গেল।শিশু মো. ইমন ইসলামের বাবা।

গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমনের বাড়িতে স্বজনদের ভিড়। এক পাশে ছেলে সাফওয়ানকে কোলে নিয়ে বসে আছেন তিনি। অনেকেই ছেলের এ অবস্থা দেখে ইমনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিচ্ছেন। সাফওয়ান চোখ মেলে আশপাশে তাকিয়ে দেখছে। আর কিছুক্ষণ পরপরই কান্না করছে।

ইমন প্রথম আলোকে বলেন, মা মারা যাওয়ার দিন বাড়িতে অনেক লোকের ভিড় থাকায় সাফওয়ান তেমন কান্না করেনি। তবে রাত হতেই মাকে না পেয়ে কান্না শুরু করে। এর পর থেকে প্রতি রাতেই কান্না করে। দিনের বেলায় বাড়িতে মানুষের ভিড় থাকায় তেমন কান্না করে না। তবে যখন বুকের দুধ খাওয়ার সময় হয়, তখন আর কান্না থামিয়ে রাখা যায় না।

ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মৌলভী পাড়া এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ