বাগদানের পরও রাশমিকার প্রথম বিয়ে কেন ভেঙেছিল?
Published: 5th, October 2025 GMT
ভারতীয় দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি রাশমিকা মান্দানা ও বিজয় দেবরকোন্ডা। ‘গীতা গোবিন্দম’, ‘ডিয়ার কমরেড’ সিনেমায় তাদের রসায়ন দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
এ জুটির পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ফলে এ দুজনের সম্পর্ক বহুল চর্চিত। বিজয় দেবরকোন্ডার সঙ্গে রাশমিকার প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জন অনেকবার চাউর হয়েছে। দেশ-বিদেশে একসঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা গেছে এ জুটিকে। তবে তারা দাবি করেন—“আমরা দুজন খুব ভালো বন্ধু।”
আরো পড়ুন:
সেরা অভিনেতা আল্লু, অভিনেত্রী রাশমিকা
আলিয়া-দীপিকা-রাশমিকাকে টপকে শীর্ষে সামান্থা
গত ৩ অক্টোবর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়ায় বাগদান সেরেছেন রাশমিকা-বিজয়। ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে তারা বাগদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন বলে দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। তবে এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি এই তারকা যুগল। ফলে তাদের ভক্ত-অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন রয়েই গেছে। পাশাপাশি রাশমিকার প্রথম বাগদান ভাঙা নিয়ে চর্চা চলছে নেট দুনিয়ায়।
২০১৭ সালে কন্নড় সিনেমার নির্মাতা-অভিনেতা রক্ষিত শেঠির সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন রাশমিকা মান্দানা। বাগদানের পরও ভেঙে যায় রাশমিকার এই বিয়ে। কিন্তু এই বিয়ে কেন ভেঙেছিল? ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি—বিজয়ের কারণে ভেঙে গিয়েছিল রাশমিকার এই বিয়ে।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসকে সাক্ষাৎকার দেন রাশমিকা। এ অভিনেত্রী বলেছিলেন—“রক্ষিতের সঙ্গে ব্রেকআপের ধকল কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছিলাম। ওই সময়ে আমার কারো যত্ন প্রয়োজন ছিল; যা বিজয় দেবরকোন্ডার কাছ থেকে পেয়েছিলাম। আমি আমার আবেগের সঙ্গে সংগ্রাম করছিলাম, বিজয় আমাকে সাহস জুগিয়েছে, বুঝিয়েছে—এর বাইরেও একটি দুনিয়া রয়েছে।”
বিজয়-রাশমিকা অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমা ‘ডিয়ার কমরেড’। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় এটি। এ সিনেমার প্রচারের সময়ে রাশমিকাকে পূর্বের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় বিজয় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাশমিকার পাশে দাঁড়ান এবং ওই সংবাদিককে তিরস্কার করেন। ওই সময় বিজয় বলেছিলেন—“আমি ঠিক আপনার প্রশ্নটি বুঝতে পারছি না। আমি যেমন আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি, তেমনি এই বিষয়ে কথা বলাও আপনার কাজ নয়।”
রক্ষিতের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার কারণে দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রাশমিকা। অভিনেতা রক্ষিতের ভক্তরা রাশমিকাকে নিয়ে ট্রল করতে থাকেন। কিন্তু এ পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দেন তিনি। রাশমিকার বিরুদ্ধে কোনোরকম অভিযোগ করেননি; সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে রাশমিকার পক্ষে বক্তব্য দেন তিনি।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে রক্ষিত শেঠি বলেছিলেন—“রাশমিকাকে নিয়ে আপনারা আপনাদের মতো মতামত দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের দোষারূপ করছি না। তবে আমি তাকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চিনি-জানি এবং আপনাদের চেয়ে তাকে ভালো চিনি। এখানে অনেক বিষয়ই কাজ করেছে। দয়া করে তাকে বিচার করা বন্ধ করুন। রাশমিকাকে শান্তিতে থাকতে দিন।”
মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন রাশমিকা মান্দানা। ২০১২ সালে ‘ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফ্রেস অব ইন্ডিয়া’ খেতাব জেতেন তিনি। ২০১৬ সালে কন্নড় ভাষার ‘কিরিক পার্টি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। অভিষেক এ চলচ্চিত্রের জন্য সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন এই অভিনেত্রী।
এরপর ‘চালো’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় অভিষেক হয় রাশমিকার। অল্প সময়ের মধ্যে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নেন তিনি। ‘গীতা গোবিন্দম’, ‘ডিয়ার কমরেড’, ‘সারিলেরু নীকেবারু’, ‘পুষ্পা’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
রাশমিকা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কুবেরা’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ধানুশ। গত ২০ জুন মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে তার হাতে বেশ কটি সিনেমার কাজ রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র রক ষ ত আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই গণহত্যার বিচার যেন প্রতিহিংসার বা প্রতীকী না হয়: সিপিবি
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেন প্রতিহিংসার বা প্রতীকী না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। পাশাপাশি এসব ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কী আইনি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জনগণকে জানানোরও দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার বিকেলে সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে সিপিবির শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, অপরাধ যে–ই করুক না কেন, তাঁকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে এবং বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও প্রশ্নমুক্ত হতে হবে। জুলাই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে সবকিছু সেরূপ আকাঙ্ক্ষা অনুসারে না হলেও, সেই বিচারের সূচনা হয়েছে এবং তার প্রথম রায় ঘোষণা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রদত্ত রায় সম্পর্কে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও তার রায় পাওয়া পর্যন্ত বিচারপ্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে বলা যায় না। বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে কেউ যেন কোনো প্রশ্ন না তুলতে পারে এবং তা যেন “প্রতিহিংসা” অথবা “ফাইল ঠিক রাখার” উদ্দেশ্যে একটি প্রতীকী পদক্ষেপ না হয়। বিচারপ্রক্রিয়ার অবশিষ্ট পর্বগুলো কোনো অজুহাতেই কোনো মহল দ্বারা যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত বা প্রভাবিত না হয়, সে বিষয়ে বিশেষভাবে হুঁশিয়ার থাকতে হবে।’
সিপিবির শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, ‘এই মামলার পরবর্তী ধাপগুলোই শুধু নয়, অন্য যারা অপরাধ করেছে, তাদের সবার বিচার সম্পন্ন করতে হবে। যেহেতু ন্যয়বিচার পেতে হলে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বহাল থাকাটা অত্যাবশ্যক, তাই সব অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য প্রতিশ্রুতি অনুসারে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও তফসিল ঘোষণা অপরিহার্য।’
সরকারের সব কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা না থাকলে ‘ন্যায়বিচারের’ বিষয়ে আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে যে ট্রাইব্যুনালের বিচার সরাসরি টেলিভিশনে দেখানো হলেও, চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও তার নিয়ন্ত্রণ আমেরিকাকে দিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার লুকোচুরির আশ্রয় নিয়ে, বলতে গেলে প্রায় সঙ্গোপনে চুক্তি স্বাক্ষর করল কেন?’
আরও পড়ুনজাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সিপিবির মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু আগামীকাল৪ ঘণ্টা আগেসিপিবির শীর্ষ নেতৃত্ব বলেন, ‘এ থেকে মানুষের মধ্যে সন্দেহ জেগেছে যে সরকারের আসল এজেন্ডা হয়তোবা অন্য কিছু। ন্যায়বিচারের বিষয়টি তার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়; ট্রাইব্যুনালের বিচার চলছে “প্রতিহিংসার” জন্য অথবা লোকদেখানো “প্রতীকী” পদক্ষেপ হিসেবে। এ রকম হলে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে মানুষের আস্থাহীনতা বাড়বে এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের শিকার ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি কঠিন হবে।’
আরও পড়ুনশেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়: বাম জোট২২ ঘণ্টা আগে