দুই প্রশ্নের জবাবে যা জানালেন শহিদুল আলম
Published: 5th, October 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী ড. শহিদুল আলম ও তার সহযাত্রীদের অবস্থান এবং গাজায় পৌঁছানোর সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে। অনেকেই জানতে চাইছেন—‘আপনারা এখন কোথায়?’ ‘আর কতক্ষণ সময় লাগবে?’ প্রথম প্রশ্নের জবাবে শহিদুল আলম জানিয়েছেন, যাত্রার সঠিক অবস্থান জানতে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ওয়েবসাইটের ট্র্যাকার ব্যবহার করা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়। ফরেনসিক আর্কিটেকচার, যারা আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধানী চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিল, তারা ফ্লোটিলার অংশীদার হিসেবে ‘কনশানস’ ও ‘থাউজ্যান্ড ম্যাডলিন’ নৌবহরের গতিপথ এই সাইটে (https://globalsumudflotilla.
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে শহিদুল আলম জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ইসরায়েলি বাহিনীর (আইডিএফ) প্রতিক্রিয়ার ওপর। তবে, আগের অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তারা ফ্লোটিলাকে গাজায় ঢুকতে দেবে না। বরং অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তার করে হয়ত ফেরত পাঠানো হবে অথবা কারাগারে পাঠানো হতে পারে। কোথায় এবং কখন সেটি ঘটবে, তা আগেভাগে বলা অসম্ভব।
শহিদুল আলম বলেছেন, “এটি আমাদের হাতে নেই। এ কারণেই আপনাদের সাহায্য প্রয়োজন। যদি বিশ্বব্যাপী মানুষ মাঠে নেমে চাপ তৈরি করতে পারেন, তবে হয়তো আমাদের পক্ষে গাজায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। এই প্রচেষ্টা কেবল অংশগ্রহণকারীদের নয়, বরং এটি অধিকার ও ন্যায়বিচারের লড়াই। তাই সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে—সংগঠিত হোন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, পদক্ষেপ নিন।”
ড. শহিদুল আলম রবিবার (৫ অক্টোবর) ফেসবুকে এ দুই প্রশ্নে উত্তর দেন। সেখানে তিনি আরও লেখেন, আজ সকালে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের একটি সংহতি বার্তা পেয়ে আমি আনন্দিত। তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বব্যাপী বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের একাত্মতার বার্তা পাঠিয়েছেন।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তি দাবিতে সংসদের সামনে মানববন্ধন
বাউলশিল্পী আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘সম্প্রীতি যাত্রা’। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে বিভিন্ন বাউল–সুফি সংগঠন, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল— ‘আবুল সরকারের মুক্তি চাই’, ‘গান, জ্ঞান ও ভক্তির নিরাপত্তা চাই’, ‘মাজার দরবার রক্ষা করো’, ‘পৃথিবীটা একদিন বাউলের হবে’—এমন বক্তব্য–সংবলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সুফি জাগরণ পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই দেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সুফি–বাউলরা সব সময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। পরিকল্পিতভাবে শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার বলেন, ‘একদিন পৃথিবীটা বাউলের হবে। শিল্পীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তার মানবাধিকার লঙ্ঘন—এটি মেনে নেওয়া হবে না।’
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘সরকার একদিকে লালনের অনুষ্ঠান করে, অন্যদিকে বাউল-ফকিরদের ওপর নির্যাতন চালায়। ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’মানববন্ধনে আহলে সুন্নত জামায়াতের সভাপতি মাওলানা নূরে আলম সাঈদ সরকারকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আবুল সরকারকে মুক্তি না দিলে দেশের সব বাউল–ফকির রাস্তায় নামবে। বাউল সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার বলেন, ‘আবুল সরকার মুক্তি না পেলে ২০ লাখ বাউল–ফকির রাস্তায় নামবেন।’
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে শুরু হয়ে খেজুরবাগান মোড় ঘুরে আবার দক্ষিণ প্লাজায় এসে শেষ হয়। পুরো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে শিল্পীর মুক্তি এবং সব ধরনের বৈষম্য ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।