পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে ইউক্রেনের লভিভ অঞ্চলে শনিবার রাতভর বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রবিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে বিমান হামলা শুরু করার পর রবিবার ভোরে তারা তাদের বিমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমান মোতায়েন করেছে। ই

পোল্যান্ডের অপারেশনাল কমান্ড এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছে, “পোলিশ এবং মিত্র বিমানগুলো আমাদের আকাশসীমায় কাজ করছে, একইসময় স্থলভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা এবং রাডার রিকনেসান্স সিস্টেমগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির স্তরে আনা হয়েছে।”

শনিবার রাতে কয়েক ঘন্টা ধরে পুরো ইউক্রেন বিমান হামলার সতর্কতার অধীনে ছিল। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী লভিভ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার সবচেয়ে ভয়াবহ সতর্কতা জারি করেছিল।

পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪৩ মাইল) দূরে অবস্থিত পশ্চিম ইউক্রেনীয় শহর লভিভের মেয়র আন্দ্রি সাদোভি জানিয়েছেন, শহরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রথমে একটি ড্রোন এবং তারপরে একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য কঠোরভাবে নিযুক্ত ছিল। রবিবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শহরের কিছু অংশ বিদ্যুৎবিহীন ছিল এবং গণপরিবহন এখনও চালু হয়নি।

রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো বোমা হামলার শব্দ চারদিক থেকে শোনা যাচ্ছিল।

টেলিগ্রামে আঞ্চলিক গভর্নর ইভান ফেডোরভ জানিয়েছেন, শনিবার রাতে জাপোরিঝিয়া শহরে হামলায় একজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছেন।

ফেডোরভ বলেন, “অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এবং ব্যক্তিগত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাড়ি পুড়ে গেছে, জানালা উড়ে গেছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি’

‘ভূমিকম্প হওয়ার সময় বাসায় ছিলাম। টেবিলে বসে একটা উপন্যাস পড়ছিলাম। হঠাৎ টেবিলটা নড়ে উঠল। পরে খেয়াল করে দেখলাম ভবনটা দুলছে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবুল মুনছুর। চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় তাঁর বাসা। ভবনের পাঁচতলায় থাকেন তিনি।

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও আজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপরই আবুল মুনছুর ফেসবুকে লেখেন, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।

আবুল মুনছুরের মতোই অভিজ্ঞতা আরেক চাকরিজীবী মোহাম্মদ সাইমুমের। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। সাইমুম বলেন, ‘ছুটির দিনে বাসাতেই ছিলাম। হঠাৎ খাটটা নড়ে উঠল। দুলতে থাকল কয়েক সেকেন্ড।’

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্প চলাকালে ও পরপরই নগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সড়কে নেমে আসেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিজ্ঞতার কথা জানান।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম থাকেন নগরের হালিশহর এলাকায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবনটা কাঁপছিল। অল্পতেই শেষ হয়ে গেছে। বড় দুর্যোগ হয়নি।’

চট্টগ্রামে কোনো ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোথাও ভবন হেলে পড়া বা দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ