ইসলামী ব্যাংকে ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 5th, October 2025 GMT
ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপ প্রভাব খাটিয়ে ‘অবৈধভাবে’ ও ‘অদক্ষদের’ নিয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সচেতন ব্যাংকার সমাজ, ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম ও সচেতন পেশাজীবী সমাজ। মানববন্ধন থেকে তারা অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সংগঠনগুলো।
আরো পড়ুন:
ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ উদ্ধার
লেনদেনে আরটিজিএস মাধ্যমের নতুন সময়সূচি
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এস আলম গ্রুপ ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকে চট্টগ্রামের পটিয়া অঞ্চল থেকে গোপনে হাজার হাজার অযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকের সার্বিক পরিবেশ ধ্বংস করেছে।
তারা দাবি করেন, নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকে গ্রাহকসেবায় অদক্ষ, দুর্ব্যবহার করেন এবং আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন; যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য সমস্যার। বক্তারা তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো জানান, এস আলমের ছত্রছায়ায় ব্যাংকে অনিয়ম, অর্থপাচার ও লোন জালিয়াতি বেড়েছে। ফলে ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে এবং ডলারের সংকটসহ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তারা বলেন, বাক্স বসিয়ে পটিয়ার লোক নিয়োগ দিয়ে দেশব্যাপী ব্যাংক পরিচালনা করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
এ সময় বক্তারা ইসলামী ব্যাংকের নিয়োগ, অডিট, কোর গভর্ন্যান্সসহ সার্বিক ব্যবস্থার সংস্কার এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে জানানো হয়, সম্প্রতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের দক্ষতা যাচাইয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে। পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছিল ৫ হাজার ৩৮৫ জন কর্মকর্তাকে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জন অংশ নিয়েছেন। বাকি ৪ হাজার ৯৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নেননি। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের ওএসডি করে এবং ৪০০ জনকে চাকরিচ্যুত করে।
ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক হওয়া, অযোগ্য নিয়োগ, অনিয়মতান্ত্রিক ঋণ বিতরণসহ বিভিন্ন ঘটনা এস আলমের প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ঘটছে। বক্তারা এ সব নিয়োগ বাতিল করে, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ঢাকা/নাজমুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস আলম বক ত র পর ক ষ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় নৃশংসভাবে বিড়াল হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় মাছ খাওয়ায় একটি বিড়ালকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং পথপ্রাণী, পোষা প্রাণী ও বন্য প্রাণীর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে বগুড়ার সাতমাথা মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ—তীর’। এ সময় সংগঠনটির সদস্যরা প্ল্যাকার্ড, পোস্টার হাতে প্রাণী সুরক্ষার দাবি জানান। এ ছাড়া প্রাণী আইন লঙ্ঘন না করার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রচারপত্র বিলি করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে আদমদীঘি উপজেলার দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রামে বিড়াল হত্যার অভিযোগ ওঠে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। পরদিন বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এমরান হোসেন। পরে পুলিশ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায়। শুক্রবার বুলবুলি বেগমকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তীর–এর সভাপতি আশা মনি, সহসভাপতি হৈমন্তী সরকার, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
পুলিশ সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে বুলবুলির বাড়িতে একটি বিড়াল ঢোকে। একপর্যায়ে প্রাণীটি রান্না করা মাছ খেয়ে ফেলে। গত মঙ্গলবার রাতে বিড়ালটি দ্বিতীয় দফায় বুলবুলির ঘরে ঢোকে। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বিড়ালটিকে ধরে বঁটি দিয়ে গলা কেটে ফেলেন। এভাবে হত্যার পর একটি ধানখেতে ফেলে দেন। বিষয়টি জানার পর প্রতিবেশী ইসাহাক আলীর স্ত্রী শামছুন্নাহার বুধবার সকালে বিড়ালটির ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নেন। মৃত বিড়ালটি বরফ দিয়ে সংরক্ষণের পর তিনি পুলিশে খবর দেন। বিষয়টি জানাজানির পর বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিড়াল হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত বুলবুলি বেগম উত্তেজিত হয়ে বঁটি হাতে স্থানীয় লোকজনকে লক্ষ্য করে তেড়ে আসেন এবং কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে আটক করে ১৫১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিড়াল হত্যার ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।