ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপ প্রভাব খাটিয়ে ‘অবৈধভাবে’ ও ‘অদক্ষদের’ নিয়োগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সচেতন ব্যাংকার সমাজ, ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম ও সচেতন পেশাজীবী সমাজ। মানববন্ধন থেকে তারা অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান। 

রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সংগঠনগুলো।  

আরো পড়ুন:

ইসলামী ব্যাংকের ফেসবুক পেজ উদ্ধার

লেনদেনে আরটিজিএস মাধ্যমের নতুন সময়সূচি

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এস আলম গ্রুপ ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকে চট্টগ্রামের পটিয়া অঞ্চল থেকে গোপনে হাজার হাজার অযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকের সার্বিক পরিবেশ ধ্বংস করেছে। 

তারা দাবি করেন, নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকে গ্রাহকসেবায় অদক্ষ, দুর্ব্যবহার করেন এবং আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন; যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য সমস্যার। বক্তারা তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

বক্তারা আরো জানান, এস আলমের ছত্রছায়ায় ব্যাংকে অনিয়ম, অর্থপাচার ও লোন জালিয়াতি বেড়েছে। ফলে ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে এবং ডলারের সংকটসহ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তারা বলেন, বাক্স বসিয়ে পটিয়ার লোক নিয়োগ দিয়ে দেশব্যাপী ব্যাংক পরিচালনা করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।

এ সময় বক্তারা ইসলামী ব্যাংকের নিয়োগ, অডিট, কোর গভর্ন্যান্সসহ সার্বিক ব্যবস্থার সংস্কার এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

মানববন্ধনে জানানো হয়, সম্প্রতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের দক্ষতা যাচাইয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে। পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছিল ৫ হাজার ৩৮৫ জন কর্মকর্তাকে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জন অংশ নিয়েছেন। বাকি ৪ হাজার ৯৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নেননি। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের ওএসডি করে এবং ৪০০ জনকে চাকরিচ্যুত করে।

ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক হওয়া, অযোগ্য নিয়োগ, অনিয়মতান্ত্রিক ঋণ বিতরণসহ বিভিন্ন ঘটনা এস আলমের প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ঘটছে। বক্তারা এ সব নিয়োগ বাতিল করে, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ঢাকা/নাজমুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস আলম বক ত র পর ক ষ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি চাকরির নিয়োগে অস্থিরতা: চার মাসে চাকরিপ্রত্যাশীদের যত আন্দোলন

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি পাওয়া যেন যুদ্ধজয়ের সমান। আর চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন এখন নিত্যদিনের দৃশ্য। স্মারকলিপি, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, অনশন থেকে শুরু করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ—দাবি আদায়ে কর্মসূচির ধরনও বহুবিধ। চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগ নিয়ে নানামুখী আন্দোলন হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সমাপ্ত হলেও অনেক আন্দোলন এখনো চলমান বা সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।

৪৩তম বিসিএস: নন-ক্যাডার প্রার্থীদের অনশন

নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ জটিলতা এবং কমসংখ্যক সুপারিশের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তাঁরা ‘বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে প্রায় ১০ দিন অনশন চালান। এর আগে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা। দীর্ঘ আন্দোলনেও সমাধান না মেলায়, এখন আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রার্থীরা।

আজ রোববারের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল–সংক্রান্ত ফাইল জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের দাবিতে মানববন্ধন করেন ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডাররা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি চাকরির নিয়োগে অস্থিরতা: চার মাসে চাকরিপ্রত্যাশীদের যত আন্দোলন
  • খুলনায় মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি বন্ধ, সিন্ডিকেট রুখতে ঐক্যবদ্ধ
  • মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারের ভক্তদের ওপর হামলা, আহত ৪
  • জামালপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে সড়ক অবরোধে ছিলেন নারীরাও
  • ৪৪তম বিসিএস: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডারদের মানববন্ধন
  • আট আসনে বিক্ষোভ, অবরোধ, মানববন্ধন
  • কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ে দীর্ঘ মানববন্ধন
  • সীতাকুণ্ডে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে একাধিক স্থানে মানববন্ধন
  • বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তি দাবিতে সংসদের সামনে মানববন্ধন
  • বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে শহরে মানববন্ধন