ঝিনাইদহের গ্রামটি এখন ‘পাখির গাঁ’, চাওয়া অভয়াশ্রম হোক
Published: 6th, October 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আশুরহাট গ্রামে দলে দলে এসে ভিড় করছে পাখি। শামুকখোল, পানকৌড়ি আর সাদা সারস। কেউ বাসা বানাচ্ছে, কেউ ডিমে তা দিচ্ছে, কেউ আবার ছানা লালনপালন করছে। প্রায় এক যুগ ধরে প্রতিবছর শীত মৌসুমে পাখিরা এসে এই গ্রামকে সাজিয়ে তোলে। ধীরে ধীরে গ্রামটি পরিচিতি পাচ্ছে ‘পাখির গাঁ’ হিসেবে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটি পাখিদের অভয়াশ্রম ঘোষিত না হওয়ায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখানে যেসব গাছে পাখিরা বাসা বাঁধে, সেগুলো দুটি পুকুরপাড়ে। গাছের নিচ দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষের যাতায়াত। পাখির বিষ্ঠায় পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েন। প্রায় ৪ একর জলাশয়ের দুটি পুকুরে পাখির বিষ্ঠার কারণে মাছ চাষ ব্যাহত হচ্ছে। আবার অনেক মাছ পাখি খেয়েও ফেলছে। এতে পুকুরের মালিকদের মধ্যে বাড়ছে অসন্তোষ। তবু এখানে পাখি দেখতে প্রতিবছর ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালের শীত মৌসুমে প্রথম এখানে অতিথি পাখি আসতে শুরু করে। পাখিগুলো গ্রামের আবদুর রাজ্জাক ও গোপাল বিশ্বাসের দুটি পুকুরপাড়ে থাকা গাছগুলোয় বাসা বাঁধে। বছর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাখির সংখ্যা বাড়তে থাকে। আশপাশের এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়লে মানুষ দলবেঁধে আসতে শুরু করে পাখি দেখতে। পরে দোকানপাট বসে, চলে পাখির মেলা।
প্রশাসনেরও একসময় নজর পড়ে এই এলাকায়। খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগ স্থানটিকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে ওঠে স্থানীয় পাখি সংরক্ষণ সমিতি। তবে ২০১৭ সালে কমিটি গঠনের পর থেকে সরকারি সহযোগিতা মেলেনি।
পাখিরা গাছের ডালে বাসা বেঁধেছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চোখজুড়ানো শর্ষে ফুল
২ / ৮মাঠে কাজ শেষে শর্ষেখেতের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছেন এক নারী