নব্বইয়ের দশকে ক্যারিয়ার শুরু করেন সাইফ আলী খান। মূলত রোমান্টিক সিনেমাতেই বেশি দেখা যেত তাঁকে। তবে বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানির সিরিজ ‘সেক্রেড গেমস’ দিয়ে নতুনভাবে ক্যারিয়ার শুরু করেন অভিনেতা। সম্প্রতি এস্কায়ার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন সাইফ।

সাক্ষাৎকারে সাইফ জানান, কেন তিনি স্ত্রী বা প্রেমিকার সঙ্গে কাজ করতে চান না। যদিও তিনি স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন, তাঁর সাবেক স্ত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে কোনো সিনেমায় কাজ করেননি।

কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলী খান দম্পতি। এক্স থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমার মাথায় কী হয়েছিল জানি না, বললেন আকবর

আকবর আলী আসলে কী ভেবেছিলেন?

তিনি নিজেও জানেন না। কাল রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপে ভারত ‘এ’ দলকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিতের পরও নিজের পাগলাটে থ্রোর ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক আকবর। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

কী হয়েছিল কাল?

বাংলাদেশের বিপক্ষে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শেষ বলে ভারতের লাগত ৪ রান। বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করলেও ব্যাটসম্যান হার্শ দুবের শট চলে যায় সোজা লং অন ফিল্ডারের কাছে। জিশান আলম সেখান থেকে বল কুড়িয়ে উইকেটকিপার আকবরের হাতে পাঠাতে পাঠাতে ২ রান নেন নেহাল ওয়াধিরা ও হার্শ দুবে।

তবে এই সময়ে হার্শকে রানআউট করতে বল স্টাম্পে মারেন আকবর। কিন্তু স্টাম্প তো ভাঙেইনি, কোনো ফিল্ডারও ছিলেন না কাছাকাছি। তাতে ভারতের দুই ব্যাটসম্যানই সুযোগ পেয়ে তৃতীয় রান নিয়ে নেন। ম্যাচ হয়ে যায় টাই। অথচ তখন বলটা হাতে রেখে দিলেও ১ রানে জিতে যেত বাংলাদেশ। কিংবা হেঁটে গিয়ে স্টাম্প ভাঙতেও পারতেন আকবর।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই ঘটনা নিয়ে আকবর বলেছেন, ‘আমাদের যারা সমর্থন করেছেন, সবার কাছে আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমি সমীকরণটা জানতাম, কিন্তু শেষ বলে আমার মাথায় কী হয়েছিল জানি না, আমি থ্রো করে ফেলি।’

সুপার ওভারে কাল রিপন মণ্ডলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত ‘এ’ দলকে কোনো রানই করতে দেয়নি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। রিপন প্রথম দুই বলেই দুটি উইকেট নেন। ১ রানের লক্ষ্যে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ‘এ’ দল উইকেট হারায় প্রথম বলেই। এরপর ক্রিজে আসেন আকবর। দায়িত্ব নিতে এসে তিনি পান ভাগ্যের সহায়তা। মূল্যবান একটি রান আসে ওয়াইড থেকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সুপার ওভারে যখন বল হাতে নামলাম, আমি (নিজেকে) শুধু বলেছিলাম, যা-ই হোক, আমি দায়িত্ব নেব।’

ডেথ ওভার ও সুপার ওভারের নাটকের ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে তোলে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান। ওপেনিংয়ে নামা হাবিবুর রহমান ৩ চার ৫ ছক্কায় ৪৬ বলে করেন ৬৫ রান। আর শেষ দিকে এস এম মেহরব মাত্র ১৮ বলের ইনিংসে ৬ ছক্কা ১ চারে অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে। মেহরবের ইনিংসটিও মূলত বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছে।

১৯০ রান করার কথা ভাবেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দলও—জানিয়েছেন আকবর। তিনি বলেন, ‘আমি আর সোহান (হাবিবুর) যখন ব্যাটিংয়ে নামলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল ১৮০। কিন্তু যেভাবে মেহরব আর ইয়াসির ইনিংস শেষ করল, সত্যিই দুর্দান্ত। ওদের অভিনন্দন।’

বল হাতে স্পিনার রাকিবুল শেষ ওভারে ১৫ রান ডিফেন্ড করেছেন। তাও জিশানের সহজ ক্যাচ মিস করে চার বানানো, আকবরের শিশুতোষের ভুলের পরও। এসব নিয়ে আকবর বলেছেন, ‘ওদের ওপেনাররা অনেক ভালো শুরু করেছে, আমরা খুব খারাপ বল করিনি, কিন্তু তারা দারুণভাবে শট খেলেছে। ম্যাচটা একেবারে শেষ পর্যন্ত গিয়েছে। রিপন ১৯তম ওভারে যেভাবে বল করল, আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। পরে চিন্তা করলে মনে হয় আমি সিমারদের (ফাস্ট বোলার) দিয়ে করাতে (২০ ওভার) পারতাম, কিন্তু তখন মনে হয়েছিল রাকিবুল পারবে, আর সে পেরেছেও। এখনো বিশ্বাসই হচ্ছে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ