সহজক্যাশ লিমিটেডে নিয়োগ বা লেনদেনের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ, এ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নেই বা অনুমতির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করেনি। আর্থিক লেনদেন করতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সহজক্যাশ লিমিটেডের নামে প্রকাশিত একটি চাকরির বিজ্ঞাপন বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, সহজক্যাশ লিমিটেড বর্তমানে প্রাক্‌-পরিচালন পর্যায়ে রয়েছে এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তথাকথিত সহজক্যাশ লিমিটেডের নামে এমএফএস চালুর কোনো আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত হয়নি। এ ধরনের কোনো এমএফএস চালুর অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রক্রিয়াধীনও নেই। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করা বা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র অন ম ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি’

‘ভূমিকম্প হওয়ার সময় বাসায় ছিলাম। টেবিলে বসে একটা উপন্যাস পড়ছিলাম। হঠাৎ টেবিলটা নড়ে উঠল। পরে খেয়াল করে দেখলাম ভবনটা দুলছে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবুল মুনছুর। চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় তাঁর বাসা। ভবনের পাঁচতলায় থাকেন তিনি।

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও আজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপরই আবুল মুনছুর ফেসবুকে লেখেন, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।

আবুল মুনছুরের মতোই অভিজ্ঞতা আরেক চাকরিজীবী মোহাম্মদ সাইমুমের। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। সাইমুম বলেন, ‘ছুটির দিনে বাসাতেই ছিলাম। হঠাৎ খাটটা নড়ে উঠল। দুলতে থাকল কয়েক সেকেন্ড।’

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্প চলাকালে ও পরপরই নগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সড়কে নেমে আসেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিজ্ঞতার কথা জানান।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম থাকেন নগরের হালিশহর এলাকায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবনটা কাঁপছিল। অল্পতেই শেষ হয়ে গেছে। বড় দুর্যোগ হয়নি।’

চট্টগ্রামে কোনো ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোথাও ভবন হেলে পড়া বা দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ