কিছু উপদেষ্টার চরিত্রের শেষ দেখতে চান সারজিস
Published: 6th, October 2025 GMT
‘‘উপদেষ্টাদের অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবতেছেন’’— জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম যাদের ব্যাপারে এমন মন্তব্য করেছেন, তাদের শেষটা দেখতে চান দলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সারজিস বলেন, ‘‘তাদের সম্পর্কে আমাদের আহ্বায়ক বলেছেন। আমরা তাদের চরিত্রের শেষটা দেখতে চাই। কারণ বিপ্লবটাকে ধারণ করে তাদের যেভাবে একেকটা সংস্কার করার কথা ছিল, যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল, যে অপকর্মের বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, সেগুলো যখন আবার সামনে আসে, তখন এর দায় তাদের নিতে হবে। তাদের জায়গা থেকে যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিচার, রাজনীতি, আমলাতন্ত্র, সব জায়গায় ভূমিকা পেতাম, তাহলে এই অবস্থাটা দেখতে হতো না।’’
আরো পড়ুন:
শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করব, অন্য অপশন নেই: সারজিস
শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া ছাড়া প্রত্যাশিত আচরণ পাবে না ভারত: সারজিস
সারজিস আলম বলেন, ‘‘সবচেয়ে সমস্যা হয়েছে গোড়ায়। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস থেকে শুরু করে প্রশাসন, পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাহিনীতে যদি এক হাজারও কালপিট থেকে থাকে, যারা দলীয় বাহিনী হিসেবে কাজ করেছে, তাদের বিচার হলে এ অবস্থা দেখা লাগত না। তারা (উপদেষ্টারা) ফেইল করেছেন ওই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যারা উপদেষ্টারা আছেন, তারা হয়ত ভাবছেন এখন আবার কঠোর হয়ে সিদ্ধান্তটা নেওয়া দরকার, সেটা সম্ভব নয়। এ জন্য তারা কীভাবে একটা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে স্বসম্মানে যেতে পারেন, সেটা হয়ত ভাবছেন। কিন্তু ওই চিন্তা যেন তারা না করেন। এতবড় অভ্যুত্থানের পর তারা যদি এভাবে চলে যেতে চান, তাহলে তারা আর বাংলাদেশের মানুষের কাছে আশ্রয় পাবেন না। এভাবে চুপিচুপি দায়সারা চলে যাওয়ার চেয়ে, দেশের মানুষের জন্য কিছু করে নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াটাও সম্মানের। আমরা অনুরোধ করব, তারা যেন অভ্যুত্থানটা ধারণ করে তাদের দায়িত্বটা ঠিকমত পালন করেন।’’
এর আগে সারজিস আলম জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা ও মহানগর কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরুতে তিনি জেলার নেতাদের সঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এরপর দলীয় কার্যক্রম, আগামী দিনের রাজনীতি, সংকট-সম্ভাবনা নিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এরপর মহানগর কমিটির নেতাদের সঙ্গে সভা করেন।
সভায় এনসিপির রাজশাহীর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘সেঞ্চুরিতে’ সেঞ্চুরির ফুল ফুটিয়ে মুমিনুলের পাশে মুশফিকুর
ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে নয়টা থেকেই মিরপুর শের-ই-বাংলার সব ক্যামেরা তাক করা মুশফিকুর রহিমের ওপর। আগের দিন ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছিলেন। সাত সকালেই মুশফিকুর ছুঁয়ে ফেলবেন সেঞ্চুরি এমনটাই আশা করা হচ্ছিল। সেটাও বিশেষ এক উপলক্ষে। মুশফিকুর রহিম নিজের সেঞ্চুরি ম্যাচে করবেন সেঞ্চুরি।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে এর আগে কেবল দশ ব্যাটসম্যানই নিজেদের সেঞ্চুরি ম্যাচে তিন অঙ্ক ছুঁতে পেরেছিলেন। রিকি পন্টিং একটু আলাদা। নিজের সেঞ্চুরির ম্যাচে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি তার। নিজেকে এবং পুরো বাংলাদেশকে অপেক্ষায় রাখলেন না মুশফিকুর। দ্বিতীয় দিনের নবম এবং নিজের খেলা অষ্টম বলে ১ রান নিয়ে ল্যান্ডমার্কে পৌঁছে যান। সেঞ্চুরির টেস্টে সেঞ্চুরি রান ক্রিকেট ইতিহাসের একাদশতম ক্রিকেটার মুশফিকুর। ইতিহাসের অক্ষয় কালিতে নিজের নাম লিখে ফেললেন এমআরফিফটিন।
আরো পড়ুন:
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করে ফিরলেন মুশফিক
মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ‘সেঞ্চুরি’
১৯৬৮ সালে যেই যাত্রা শুরু করেছিলে কলিন কাউড্রে। এরপর জাভেদ মিয়াদাঁদ, গর্ডন গ্রিনিজ, ইনজামাম, আমলা, রুট সহ ওয়ার্নারের নাম আছে। এলিট এই ক্লাবের নবীনতম সদস্য মুশফিকুর। পুরো রাত যেই অপেক্ষায় ছিলেন মু্শফিকুর সেই ১ রান নিশ্চিত করেই ভো দৌড়। মাঝ ক্রিজে দুই হাত উপরে তুলে উদযাপন শুরু হয়ে যায় তার। রান পূর্ণ করার পর একটু রয়েশয়েই উদযাপন করেন। এরপর হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এরপর সিজদাতে নিজেকে সপে দেন। সতীর্থ লিটনকে জড়িয়ে ধরার আগে গ্যালারিতে ব্যাট নাড়িয়ে মুশফিকুর সমর্থনদের জবাব দেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিকুর। দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান করা মুশফিকুর এই সেঞ্চুরিতে মুমিনুল হককে ছুঁয়ে ফেললেন। মুমিনুল ১৩ সেঞ্চুরি নিয়ে আগে শীর্ষে ছিলেন। সেঞ্চুরি ম্যাচে সেঞ্চুরির ল্যান্ডমার্ক ছুঁয়ে মুশফিকুর এখন মুমিনুলের পাশে।
তবে সেঞ্চুরির পর ইনিংসটি আর লম্বা করতে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রিজের ছোবল দেওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট সরাতে পারেননি। ২১৪ বলে ১০৬ রানে থেমে যায় তার ইনিংস।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল