ঢাকার প্রাইম লোকেশনে শেল্টেকের প্রিমিয়াম কমার্শিয়াল স্পেস
Published: 7th, October 2025 GMT
সফল নারী উদ্যোক্তা নীলিমা চৌধুরী তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে গড়া প্রতিষ্ঠানের একের পর এক ব্যবসায়িক মাইলফলক ছুঁয়ে চলেছেন। ব্যবসার সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতায় এখন তাঁর সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ, প্রতিষ্ঠানের জন্য এমন একটি স্থায়ী অফিস স্পেস খুঁজে বের করা, যা ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিস্তৃত করতে ভূমিকা রাখবে।
নতুন বাণিজ্যিক স্পেসের জন্য নারী উদ্যোক্তা নীলিমার কিছু নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। সেগুলো হলো—
লোকেশন ও যাতায়াতসুবিধা: অফিস এমন স্থানে চাই, যেখানে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও গ্রাহক উভয়েই সহজে পৌঁছাতে পারেন।
আধুনিক নকশা ও পরিবেশ: আধুনিক ও নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী, যা কর্মচঞ্চল আবহ তৈরি করে কর্মকর্তাদের সৃজনশীলতা বাড়াবে।
উন্নত ভবন অবকাঠামো: দ্রুতগতির লিফট, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও টেকসই নির্মাণ।
কর্মকর্তা ও গ্রাহকের সুবিধা: প্রয়োজনীয় পার্কিং ব্যবস্থা ও ভবনের পেশাদার ব্যবস্থাপনা।
আইনি বৈধতা ও বিশ্বস্ততা: সব প্রয়োজনীয় আইনি অনুমোদন ও বিশ্বস্ত নির্মাণ।
এসব বিষয়ের সমন্বয়ে নীলিমা এমন এক ঠিকানা খুঁজছেন, যা তাঁর প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালুকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। নির্মাণমান ও আধুনিকতার জন্য সুখ্যাত শেল্টেকের প্রকল্পগুলো তাই তাঁর কাছে নির্ভরযোগ্য বলে মনে হলো। ঢাকার বিভিন্ন প্রাইম লোকেশনে শেল্টেক্ তাদের ‘স্যাফায়ার সিরিজ’-এর আওতায় যেসব প্রিমিয়াম বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করছে, তার সবই নীলিমার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। লোকেশন, নকশা, অবকাঠামো, ব্র্যান্ড ভ্যালু বা সুযোগ-সুবিধা—প্রতিটি দিকেই এসব প্রকল্প উদাহরণ সৃষ্টি করছে।
ভিঞ্চিয়া শেল্টেক্ টাওয়ার, তেজগাঁওতেজগাঁওয়ের করপোরেট হাবে নির্মিত হচ্ছে শেল্টেকের আধুনিক ১৪ তলা কমার্শিয়াল ভবন ‘ভিঞ্চিয়া শেল্টেক্ টাওয়ার’। শীর্ষস্থানীয় আর্কিটেকচার ফার্ম ‘বিন্যাস’-এর ডিজাইন করা এই ভবনের ফ্লোর–প্ল্যানে থাকছে ৭৭১ থেকে ৭২১৭ বর্গফুটের অফিস স্পেস। এ ভবনের সামনের দিকে থাকবে খোলা ডাবল হাইট এন্ট্রি লবি, যেটি সবাইকে একটি খোলামেলা আবহ তৈরি করে দেবে। ভবনটি তেজগাঁওয়ের প্রধান সড়কের পাশে, তাই যাতায়াতের ক্ষেত্রে সুবিধাভোগ করবে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্মকর্তারা।
ভিঞ্চিয়া শেল্টেক্ টাওয়ার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দিকে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি ছাইফ উদ্দিন স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিনটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন।
সোমবার দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাতিয়া আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাৎক্ষণিক তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ করে। এসময় যৌথ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।”
ঢাকা/সুজন/এস