অ্যাম্বুলেন্সে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ডাকাতি করেন তাঁরা
Published: 7th, October 2025 GMT
অ্যাম্বুলেন্সে মহাসড়কে অবস্থান নিতেন। ছুরি, রশিসহ ডাকাতির সব সরঞ্জাম রাখতেন। সুযোগ পেলেই মহাসড়কে ডাকাতি করতেন তাঁরা। অবশেষে পুলিশের অভিযানে ধরাও পড়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ফেনীর ছাগলনাইয়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ডাকাতির সরঞ্জাম, অ্যাম্বুলেন্সসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই ঘটনায় জড়িত অন্য তিনজন পুলিশের ধাওয়ার পর পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন জেলার সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে মো.
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য। তাঁরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সুযোগ পেলেই ডাকাতি করতেন। আজ ভোরে এ সময় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের লোকজনকে সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ কাছে যায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনজন পালিয়ে যান। পরে অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানতে চাইলে ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের আগামীকাল সকালে আদালতে পাঠানো হবে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানের লামায় চাঁদাবাজির অভিযোগে এক কিশোরসহ তিনজন গ্রেপ্তার
বান্দরবানে লামা উপজেলার সরইয়ে গতকাল শনিবার রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন এক কিশোরসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হস্তান্তর করেছে।
এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা গভীর রাতে এলাকায় গিয়ে একটি পরিবার থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। তিনজনই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন বলে আজ রোববার পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে চারজন তরুণ লামা-সুয়ালক সড়কের তংগোঝিরি ত্রিপুরাপাড়ায় যান। পাড়ায় বাগানের মালিক মাসাইয়া ত্রিপুরার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ধরে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তিনজনকে আটক করেন এবং একজন পালিয়ে যান। আটকেরা হলেন বান্দরবান সদর ইউনিয়নের উজিমুখ হেডম্যাপাড়ার চ হ্রী মারমার ছেলে বুইক্য মারমা (৩৬), আলীকদমের রেফারফাড়ি এলাকার মেনওয়াই ম্রোর ছেলে মেনয়ুক ম্রো (৩৫) ও রাঙামাটি কাপ্তাইয়ের ১৪ বছরের এক কিশোর।
তংগোঝিরিপাড়ার কার্বারি (পাড়াপ্রধান) হানাসিং ত্রিপুরা জানিয়েছেন, পাড়ার মাসাইয়া ত্রিপুরা থেকে প্রথমে এক লাখ এবং পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারলে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। এরপর এলাকার পাহাড়ি-বাঙালি মিলে তিনজনকে আটক করলেও একজন পালিয়ে যায়।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, মাসাইয়া ত্রিপুরা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। তিনজনই নিজেদের ইউপিডিএফের সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। তবে মূল ইউপিডিএফ নাকি ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক তাঁরা বলেননি। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।