ঝিনাইদহে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ আতাউল মন্ডল (৪৮) নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে সদর উপজেলার বামনাইল গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (৮ অক্টোবর) ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

পাবনায় বৈষম্যবিরোধী মামলায় ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

যাত্রী বহনে রাজি না হওয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম

গ্রেপ্তার আতাউল মন্ডল কালীগঞ্জ উপজেলার নাটোপাড়া গ্রামের গোলাম রাব্বানীর ছেলে। তিনি জামাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন।

ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় আতাউল মন্ডলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার পিস্তল, দুইটি রাবার বুলেট, একটি ককটেল, একটি ছোট ধারালো কুড়াল ও দুইটি রামদা জব্দ হয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার আতাউল মন্ডলের বিরুদ্ধে হত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে উৎপাদন বাড়বে: উপদেষ্টা 

ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য সরকার নির্ধারিত ২২ দিন সফলভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সাভার উপজেলার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানিক দলের ওপর হামলা

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মৎস্যকর্মীর ইলিশ শিকার: তদন্ত কমিটি গঠন

ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে। 

সাভারে ল্যাবরেটরি পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, দেশের খামারিরা তাদের গো-প্রজননের ক্ষেত্রে বড় সেবা পাবে। এর মাধ্যমে উন্নত ও সংকর প্রজাতির প্রজনন এবং গো-মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে।’’ 

এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর ইলিশের আকাল হওয়ার পেছনে অন্যান্য আরো কারণ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘নদীতে নাব্যতার অভাব, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি ঠিকমতো না হওয়া এছাড়াও এখন বড় দুটি সমস্যা আছে, একটি হচ্ছে অবৈধ জালের ব্যবহার, আরেকটি হচ্ছে জাটকা ধরা।’’ 

ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘এই জাটকা নিধন বন্ধে আমরা যদিও এপ্রিল মাসে ৫৮ দিনের (মাছ ধরার ওপর) নিষেধাজ্ঞা দেই, সেসময় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ এবং আমাদের কর্মকর্তারা অনেক কাজ করেন, কিন্তু তারপরও এটা দুঃখজনক, অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা স্বল্পমেয়াদী মুনাফা চান, তারা জেলেদের বাধ্য করেন এগুলো (জাটকা) ধরতে। এটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে আপনারা ভালো রেজাল্ট পাবেন।’’ 
 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ