মহাবিশ্বের অনেক রহস্য। সেই সব রহস্যের শেষ কোথায়, কেউ জানে না। তাই আমাদের পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে যাওয়া গ্রহাণুর ওপর নিয়মিত নজর রাখেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। তবে বিজ্ঞানীদের অজান্তেই ১ অক্টোবর আকারে বেশ ছোট একটি গ্রহাণু মাত্র ৪২৮ কিলোমিটার দূর থেকে পৃথিবী অতিক্রম করেছে। মহাকাশে থাকা বেশ কিছু স্যাটেলাইটের চেয়েও পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল গ্রহাণুটি। মজার ব্যাপার হলো, নাসা বা অন্য কোনো মগাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানও আগে থেকে জানত না যে এ রকম একটা কিছু পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ‘২০২৫ টিএফ’ নামের গ্রহাণুটি সম্প্রতি খুব কাছ থেকে পৃথিবী অতিক্রম করেছে। অনেকটা কিছু বোঝার আগেই গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছিল। ১ অক্টোবর অ্যান্টার্কটিকার ঠিক ৪২৮ কিলোমিটার ওপর দিয়ে উড়ে যায় গ্রহাণুটি। ১ থেকে ৩ মিটার চওড়া গ্রহাণুটি পৃথিবীকে অতিক্রমের কয়েক ঘণ্টা পর ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়।

২০২০ সালের নভেম্বরে প্রশান্ত মহাসাগরের ৩৭৯ কিলোমিটার ওপর দিয়ে অতিক্রম করা ২০২০ ভিটি৪ গ্রহাণুর পরে এটি দ্বিতীয় সবচেয়ে কাছাকাছি অতিক্রম করা গ্রহাণু। ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) ২০২৫টিএফ গ্রহাণু সম্পর্কে জানিয়েছে, মহাকাশে এমন ছোট কোনো বস্তুকে শনাক্ত করা দারুণ এক কাজ। আর তাই গ্রহাণুটির অবস্থান এখনো অনিশ্চিত।

প্রসঙ্গত, গ্রহাণু কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা নির্ভর করে তার আকার ও গতির ওপর। ছোট গ্রহাণু বায়ুমণ্ডলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, উল্কাপাতের সৃষ্টি করে। আকারে বড় গ্রহাণু কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এসব গ্রহাণু ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানলে বিশাল গর্ত তৈরি করে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ রহ ণ ট র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ভোট গণনা শেষ, কে পাচ্ছেন সাহিত্যে নোবেল?

নোবেল পুরস্কার নিয়ে ‘বাজি’ বা ‘পোলিং’ হয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। মূলত সম্ভাব্য বিজয়ীদের নিয়ে জুয়া খেলা বা বাজি ধরা, যা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচারিত হয়। কে কী কারণে এ পুরস্কার পেতে পারেন, এসব নিয়ে চলে হিসাব–নিকাশ। এ বছরও সাহিত্যে কে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন, এ নিয়ে চলছে অঙ্ক কষাকষি। পোলিংও করছে অনেক ওয়েবসাইট। দেখা যায়, কোনো বছর কোনো প্রতিষ্ঠানের জরিপের ফলাফল মিলে যায়। কোনো বছর আবার মেলে না।

এ বছর এমন কয়েকটি ওয়েবসাইট সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের ছোট তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে THE BERLINER একটি। এখানে ম্যাথিল্ড মন্টপেটিটের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখায় বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তিনি জানান, চার বছর ধরে তাঁর বুক ক্লাব প্রতিবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার কে জিতবেন, তা অনুমান করার জন্য একটি পুল পরিচালনা করছে। গত তিনবারই তাঁর অনুমান সত্য হয়েছে। ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট বলেন, ‘আমরা সাধারণত সবাই পাঁচজন লেখকের নাম পাই এবং বিজয়ী হন একজনই। আমরা এটিকে গুরুত্বসহকারে নিই। তবে সাহিত্য এত গুরুত্বপূর্ণ যে কে সন্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে মাথা ঘামানো কখনোই উচিত নয়।’

২০১৯ সালে পিটার হান্ডকে তো ২০২০ সালে লুইস গ্লুক। পরের বছর ২০২১ সালে আবদুলরাজাক গুরনাহ, ২০২২ সালে অ্যানি আর্নো। মানে একবার পুরুষ সাহিত্যিক তো অন্যবার নারী সাহিত্যিক। কোরিয়ার হান কাং গত বছর জিতেছিলেন, তাই এ বছরের বিজয়ী হবেন একজন পুরুষ।

সাত বছর ধরে, ধরেন ২০১৮ সালে, যখন পোলিশ ঔপন্যাসিক ওলগা টোকারচুক জিতেছিলেন, তখন থেকে দেখা যাচ্ছে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন এ বছর একজন পুরুষ লেখক তো পরের বছর নারী লেখক।

২০১৯ সালে পিটার হান্ডকে তো ২০২০ সালে লুইস গ্লুক। পরের বছর ২০২১ সালে আবদুলরাজাক গুরনাহ, ২০২২ সালে অ্যানি আর্নো। মানে একবার পুরুষ সাহিত্যিক তো অন্যবার নারী সাহিত্যিক। কোরিয়ার হান কাং গত বছর জিতেছিলেন, তাই এ বছরের বিজয়ী হবেন একজন পুরুষ। এদিক বিবেচনা করলে যেন নোবেল কমিটি সাহিত্যের ব্যাপারে বসেই আছে নারী-পুরুষের লিঙ্গবৈষম্য কমানোর জন্য। এবারের পুরুষ লেখক তবে কে? এ বিষয়ে ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, বিজয়ী লেখক হতে পারেন ভারতীয় অমিতাভ ঘোষ। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল বিজয়ী হওয়ার পর আর কোনো ভারতীয় এ পুরস্কার পাননি। তিনি মজা করে বলছেন, অরুন্ধতী রায় ও সালমান রুশদি হতে যাচ্ছেন না, দুঃখিত। কারণ, একজন অ্যাকটিভিস্ট, অন্যজন বেশি খ্যাত।

ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সোনার ভরি দুই লাখ টাকা ছাড়াল, নতুন দাম কাল থেকে কার্যকর
  • ভোট গণনা শেষ, কে পাচ্ছেন সাহিত্যে নোবেল?