Prothomalo:
2025-10-09@11:41:37 GMT

সূর্যেও বৃষ্টি হয়, তবে

Published: 9th, October 2025 GMT

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কম আবার কোথাও বেশি। আমাদের সৌরজগতের প্রাণভোমরা সূর্যেও বৃষ্টি হয়, তবে তা ভিন্ন ধরনের। বিজ্ঞানীরা এই বৃষ্টিকে সৌরবৃষ্টি নামে ডাকেন। বিশালাকার সূর্যের বায়ুমণ্ডলে সৌরশিখার তৈরির সময় অদ্ভুত বৃষ্টি ঝরে পড়ে। বিজ্ঞানীরা বহু দশক ধরে এই বৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আমাদের পৃথিবীর মতো সেখানে জলীয় বৃষ্টি হয় নয়, সূর্যের মধ্যে উত্তপ্ত প্লাজমা বৃষ্টি হয়।

সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল করোনা নামে পরিচিত। এটি এমন একটি স্তর যা খুবই কম ঘনত্বের কিন্তু অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রার। যখন সৌরশিখা বা ফ্লেয়ার তৈরি হয় তখন চুম্বকীয় আর্ক বা লুপ উত্তপ্ত প্লাজমা দিয়ে পূর্ণ হয়। এই প্লাজমা ভীষণ উত্তপ্ত গ্যাসীয় হয় বলে পরমাণু ইলেকট্রন হারিয়ে ফেলে। এরপর বিকিরণের মাধ্যমে প্লাজমা ঠান্ডা হতে শুরু করে। তখন মেঘের মতো ঘনীভূত হয়ে ফোঁটা ফোঁটা আকারে সূর্যের পৃষ্ঠের দিকে ফিরে আসে। এই প্রাকৃতিক বিষয়কে বিজ্ঞানীরা সৌরবৃষ্টি বলে থাকেন।

বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে সৌর বৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করছেন। সৌরশিখার সময় এই কোরোনাল বৃষ্টি দ্রুত তৈরি হয়। চুম্বকীয় আর্ক বরাবর পুঁতির মালার মতো দ্রুত বেগে পড়তে থাকে। প্রচলিত সৌর মডেল সূর্যের বায়ুমণ্ডলকে একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক মিশ্রণ হিসেবে গণ্য করে। সেই সব মডেল দিয়ে এই দ্রুতগতি ব্যাখ্যা করা কঠিন। নতুন এক মডেল বলছে, ধীরে ধীরে তাপমাত্রার স্থিতিশীল পরিবর্তনের মাধ্যমেই কেবল ঘনীভবন হওয়া সম্ভব সেখানে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমির গবেষক লুক ফুশিমি বেনাবিতজ এই ধাঁধার সমাধান করেন। তিনি ফ্লেয়ার লুপের তথ্য জানতে কম্পিউটার মডেল তৈরি করেন।

আরও পড়ুনসূর্য ধ্বংসের সময় পৃথিবীর কী হবে০৯ জুলাই ২০২৫

নতুন গবেষণা বলছে, প্লাজমার রাসায়নিক উপাদানে পরিবর্তন ঘটলে ঠান্ডা হওয়ার হারেও পরিবর্তন আসে। এই নতুন মডেলে লোহা, সিলিকন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান কোনো লুপের শীর্ষে বেশি পরিমাণে জমা হয় তখন বিকিরণ বৃদ্ধি পায়। তখন তাপমাত্রা দ্রুত কমে গেলে ঘনীভবন শুরু হয়। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী বেনাবিতজ বলেন, বর্তমান মডেল মনে করে করোনার মধ্যে বিভিন্ন উপাদানের বিতরণ স্থান ও সময়জুড়ে স্থির থাকে। বাস্তবে এমন ভাবনা স্পষ্টতই সঠিক নয়। কম্পিউটার সিমুলেশন করা বৃষ্টি এখন টেলিস্কোপে রেকর্ড হওয়া বৃষ্টির গতির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনসূর্যের পৃষ্ঠের বিস্তারিত ছবি ধারণ করল বিশ্বের বৃহত্তম সৌর টেলিস্কোপ০৪ মে ২০২৫

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সৌরশিখার সময় ক্রোমোস্ফিয়ারিক ইভাপোরেশন প্রক্রিয়ায় উত্তপ্ত উপাদান চুম্বকীয় ক্ষেত্র বরাবর ওপরের দিকে ওবং লুপের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহের সময় তা লোহার মতো বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে করোনার কিছু অংশকে সমৃদ্ধ বা লঘু করে দিতে পারে। যখন লুপের শীর্ষস্থানে এমন উপাদানের পরিমাণ সামান্য বৃদ্ধি পায়, তখন সেই অঞ্চলে বিকিরণ প্রতিবেশী অঞ্চলের তুলনায় বেড়ে যায়। এই ভারসাম্যহীনতা প্লাজমাকে তুলনামূলকভাবে শীতল ও নিম্নচাপের পকেটগুলোর দিকে ঠেলে দেয়। এতে ঘনত্ব বাড়ে ও ঠান্ডা হলে দ্রুত সৌরবৃষ্টির সৃষ্টি হয়।

সূত্র: আর্থ ডট কম

আরও পড়ুনসূর্য কি সত্যিই জেগে উঠছে১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বার্জারের রং ব্যবহার করবে বিটিআই

দেশের শীর্ষস্থানীয় রং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ এবং রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াসের (বিটিআই) মধ্যে একটি অংশীদারত্ব চুক্তি সই হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে বিটিআইয়ের করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি সই হয়। এ চুক্তির লক্ষ্য হচ্ছে, বিটিআইয়ের ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোতে বার্জারের তৈরি উচ্চমানের রং ও কোটিং সমাধান দেওয়া, যাতে স্থাপত্যের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’র। 

বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও পরিচালক মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী এবং বিটিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এফ আর খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বার্জারের চিফ বিজনেস অফিসার এ কে এম সাদেক নেওয়াজ, বিক্রয় মহাব্যবস্থাপক শাব্বীর আহমদ, করপোরেট সেলসের প্রধান আসাদুর রহমান ও এরিয়া ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবীর এবং বিটিআইয়ের চিফ বিজনেস অফিসার এম. বদরুল ইসলাম, পরিচালক আবু কামাল মোহাম্মদ পাশা, ডিজিএম মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, এ এম সনেট হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সহযোগিতার মাধ্যমে বিটিআই তাদের আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্পে বার্জারের বিশ্বমানের পরিবেশবান্ধব
পণ্য ব্যবহার করবে, যা ভবনের মান, স্থায়িত্ব ও আকর্ষণ বাড়াবে।

অনুষ্ঠানে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সিওও ও পরিচালক মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী বলেন, ‘বার্জার সব সময় গুণমান ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের পণ্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর এবং পরিবেশবান্ধব, যা আধুনিক স্থাপত্যের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব বাড়ায়।’

বিটিআইয়ের এমডি এফ আর খান বলেন, ‘বিটিআই সব সময় এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, যা সৌন্দর্য ও মানের সমন্বয়ে অনন্য। বার্জার পেইন্টসের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব আমাদের প্রকল্পগুলোকে আরও আকর্ষণীয় ও টেকসই করে তুলবে এবং গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা দেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ