রোববার থেকে দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকা দেওয়া শুরু
Published: 9th, October 2025 GMT
দেশে রোববার ১২ অক্টোবর থেকে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। সরকার প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনা মূল্যে এই টিকা দেবে। জন্মসনদ নেই এমন শিশুরাও এই টিকা পাবে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলা হয়। ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ উপলক্ষে এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। সহযোগিতা করে ইউনিসেফ।
দেশে টাইফয়েডের টিকার এটাই প্রথম ক্যাম্পেইন। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। টিকাটি তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সরকার এই টিকা পেয়েছে টিকাবিষয়ক আন্তর্জাতিক মঞ্চ গ্যাভির কাছ থেকে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক মো.
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানানো হয়, দেশে ২০২১ সালে ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৮ হাজার, এদের ৬৮ শতাংশ ছিল শিশু। দেশে টাইফয়েডের প্রকোপ বিষয়ে ধারাবাহিক তথ্য, উপাত্ত ও পরিসংখ্যান না থাকলেও অনুমান করা হচ্ছে এটি বাড়ছে। এ ছাড়া ওষুধ প্রতিরোধী টাইফয়েড জ্বরের প্রকোপও দিন দিন বাড়ছে।
ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক্-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে এক ডোজ করে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এর বাইরেও ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। শহর এলাকার পথশিশুদের টিকা দেবে এনজিওরা।
৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। বলা হয়, ইতিমধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে। এই নিবন্ধন অব্যাহত আছে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই বা জন্মনিবন্ধন হয়নি, তাদের জন্যও টিকার নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নিতে হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথমবার আমিরাতের তরুণী
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন এক তরুণী। ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম মরিয়ম মোহাম্মদ। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে কয়েক শ আবেদনকারীর মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি মিস ইউনিভার্স ইউএই-২০২৫ নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।
মরিয়ম মোহাম্মদ ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাকে বড় স্বপ্ন দেখার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সেসব নারীর কণ্ঠস্বর হতে চাই, যাঁরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও কৌতূহলী। মিস ইউনিভার্স ইউএই শুধু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়, অনেক কিছুর ওপর এর প্রভাব রয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন মরিয়ম। বর্তমানে ইএসএমওডি দুবাই-এ ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনা করছেন। তিনি পড়াশোনা, শিল্প ও সামাজিক সচেতনতার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করেছেন। তাঁর লক্ষ্য দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
আমিরাতের এই তরুণী টেকসই ফ্যাশনের নকশা করেছেন। তিনি রামাদান আমান ও দ্য গিভিং ফ্যামিলি ইনিশিয়েটিভের মতো দাতব্য কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা কর্মসূচিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
মরিয়মের আগ্রহে ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের দারুণ সমন্বয় ফুটে উঠেছে। বাজ পাখি শিকার ও উট চালানো থেকে শুরু করে টেকসই ফ্যাশন ও বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তিনি সৌন্দর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে আরব আমিরাতের মূল্যবোধকে ধারণ ও প্রতিনিধিত্ব করছেন।
মরিয়মের প্রত্যাশা, তিনি আমিরাতের নতুন প্রজন্মের নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হবেন। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষমতায়ন, টেকসই এবং উদ্ভাবনের গল্পকে বিশ্বব্যাপী দর্শকের সামনে তুলে ধরবেন বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি।
মিস ইউনিভার্স ইউএইর জাতীয় পরিচালক পপি ক্যাপেলা প্রতিযোগিতায় মরিয়ম বিজয়ী হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘মরিয়ম শুধু তাঁর কথাবার্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নয়, বরং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহ্য, ক্ষমতায়ন এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষমতার মাধ্যমে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছেন।’