দেশে রোববার ১২ অক্টোবর থেকে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। সরকার প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনা মূল্যে এই টিকা দেবে। জন্মসনদ নেই এমন শিশুরাও এই টিকা পাবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলা হয়। ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ উপলক্ষে এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। সহযোগিতা করে ইউনিসেফ।

দেশে টাইফয়েডের টিকার এটাই প্রথম ক্যাম্পেইন। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। টিকাটি তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সরকার এই টিকা পেয়েছে টিকাবিষয়ক আন্তর্জাতিক মঞ্চ গ্যাভির কাছ থেকে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক মো.

সায়েদুর রহমান বলেন, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। এটি নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরও আটটি দেশে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকার বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো উদাহরণ নেই। তিনি বলেন, টাইফয়েড সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। টাইফয়েড কমে এলে দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমে আসবে।

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানানো হয়, দেশে ২০২১ সালে ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৮ হাজার, এদের ৬৮ শতাংশ ছিল শিশু। দেশে টাইফয়েডের প্রকোপ বিষয়ে ধারাবাহিক তথ্য, উপাত্ত ও পরিসংখ্যান না থাকলেও অনুমান করা হচ্ছে এটি বাড়ছে। এ ছাড়া ওষুধ প্রতিরোধী টাইফয়েড জ্বরের প্রকোপও দিন দিন বাড়ছে।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে এক ডোজ করে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এর বাইরেও ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। শহর এলাকার পথশিশুদের টিকা দেবে এনজিওরা।

৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। বলা হয়, ইতিমধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে। এই নিবন্ধন অব্যাহত আছে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই বা জন্মনিবন্ধন হয়নি, তাদের জন্যও টিকার নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নিতে হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট ইফয় ড র এই ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রোঞ্জ পেয়েই ‘সন্তুষ্ট’ বাংলাদেশ, ভারত–চায়নিজ তাইপে ফাইনাল

প্রথমবার নারী কাবাডি বিশ্বকাপে খেলতে নেমেই ব্রোঞ্জপদক জয়—একি আর কম পাওয়া! আজ ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চায়নিজ তাইপের গতি ও কৌশলের কাছে ২৫-১৮ পয়েন্টের ব্যবধানে হার মানতে হলো স্বাগতিক দলকে। তাতে অবশ্য কিছুটা আফসোস থাকলেও পুরো দল কিন্তু মোটেই হতাশ নয়। মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হারের আগেই ব্রোঞ্জপদক নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের!    

চায়নিজ তাইপের কাছে হারের পরও বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় স্মৃতি আক্তার সন্তুষ্টির কথাই বলেছেন, ‘টেকনিক্যাল দিক দিয়ে আমরা তাইপের কাছে হেরে গেছি। তারপরও আমরা খুশি যে প্রথমবারের মতো একটা পদক পেয়েছি। আরও ভালো লাগত যদি ফাইনালে যেতে পারতাম।’

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের একটি মুহূর্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসির ১৩০০
  • দেশে প্রথমবারের মতো প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ শুরু হচ্ছে বুধবার 
  • ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন ১৭ হাজার ৯০৭ প্রবাসী
  • ব্রোঞ্জ পেয়েই ‘সন্তুষ্ট’ বাংলাদেশ, ভারত–চায়নিজ তাইপে ফাইনাল