ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাবা-মাকে হত্যার পর ঘরে লাশ পুঁতে রাখার অভিযোগে ছেলে রাজু মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতরা হলেন- উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৭০) ও তার স্ত্রী রানোয়ারা বেগম (৬০)।

আরো পড়ুন:

শটগান-ওয়াকিটকি কেড়ে নিয়ে আসামির পলায়ন, ছয় পুলিশ বরখাস্ত

খুলনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু মিয়া বাবা-মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনসুর আহাম্মদ। পরে রাজুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে রানুয়ারা বেগমকে গলা টিপে এবং ওই দিন দিবাগত রাত ২টার দিকে মোহাম্মদ আলীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে রাজু। পরে তাদের দুজনের লাশ বাসার ভেতরের একটি রুমে মাটি খুঁড়ে চাপা দেওয়া হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিয়ের পরে বেকার হয়ে পড়েন রাজু। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি চলছিল। প্রায় সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে টাকা-পয়সা নিয়ে তার ঝগড়া হতো।

ঢাকা/মিলন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে চুরির অভিযোগে কিশোরের মাথার চুল কেটে দিয়ে পিটুনি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের মাথার চুল কেটে পিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার রুদ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মধ্যস্থতায় ওই কিশোরকে তার বাবার হেফাজতে দেওয়া হয়।

নির্যাতনের শিকার কিশোরের বাড়ি কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার রুদ্রপুর গ্রামে। ওই কিশোরের বয়স যখন চার মাস, তখন বাবার সংসার ছেড়ে চলে যান তার মা। পরে বাবা আরেকটি বিয়ে করলে কিশোর দাদা-দাদির হেফাজতে বড় হচ্ছে।

কোটচাঁদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত আলী বলেন, দুপুরে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ওই ছেলেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। রুদ্রপুর গ্রামের দুলালের বাড়িতে চুরি সন্দেহে তাকে ধরে প্রথমে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। পরে গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটান। দুলাল ওই ছেলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। এ জন্য বিকেলে তাকে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের হেফাজতে দেওয়া হয়।

কোটচাঁদপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক মোসা. কোহিনুর খাতুন জানান, যেহেতু ওই ছেলের বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, সে কারণে সন্ধ্যার আগে তার বাবা ও চাচাকে ডেকে তাঁদের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দুপুরে ওই ছেলের মাথার চুল কেটে পিটুনি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটিকে অনেকে ‘অমানবিক’ বলে প্রতিক্রিয়া দেখান। তবে রুদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, ওই ছেলের আগে থেকেই চুরির অভ্যাস আছে। ছোটবেলা থেকে পথশিশুর মতো বড় হয়েছে। বিভিন্ন খারাপ সঙ্গে মিশে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। আগেও তার বিরুদ্ধে টাকাপয়সা ও মুঠোফোন চুরির অভিযোগ আছে।

কিশোরের বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ছেলের বয়স যখন চার মাস, তখন তার মা সংসার ছেড়ে চলে যান। ছেলে ধীরে ধীরে বিগড়ে যায়। সে তাঁর কথা শোনে না। এমন স্বভাবের কারণে এক বছর ধরে ছেলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই। তিনি গরিব মানুষ। পুরোনো একটি রিকশা আছে। সেটা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালান। ছেলেকে ভালো কোনো সংশোধনাগারে পাঠাবেন, তেমন আর্থিক সংগতি তাঁর নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ