বনানী সোসাইটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে (২০২৬ ও ২০২৭) ‘দিলন-ইরফান প্যানেল’ জয় পেয়েছে। সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির সব পদেই এই প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর ২০২৫) বনানী মডেল স্কুল মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা এবং দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে এবং সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে সোসাইটির সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন শওকত আলী ভূঁইয়া (দিলন) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন ইরফান ইসলাম, সহসভাপতি মো.

আছাদ উল্লাহ শিকদার, এস এম সামছুউদ্দিন বাহার ও তানভীর আহম্মেদ খান। সহসাধারণ সম্পাদক মামুন আকবর ও রেজাউর রহমান ফাহিম এবং কোষাধ্যক্ষ শফিকুজ্জামান রতন, সহকোষাধ্যক্ষ শাহেদ হায়দার চৌধুরীসহ কার্যনির্বাহী কমিটির মোট ২১টি পদের সব কটিতেই বিজয়ী হন দিলন-ইরফান প্যানেলের প্রার্থীরা। বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স স ইট র ন ইরফ ন

এছাড়াও পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ১৮ প্রকল্প অনুমোদন

জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৫তম সভা সোমবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সারাদেশে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা, নদী পুনঃখনন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব জীবিকা গঠনের লক্ষ্যে ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বাগেরহাট, নওগাঁ, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় ‘প্রাকৃতিক সম্পদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও নিরাপদ পানির মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল পরিবেশ গঠন’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াল নদী ও মির্জা মাহমুদ খাল পুনঃখনন ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলায় রজতরেখা নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলায় আলাই নদী ও যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

লক্ষীপুর জেলার চরশাহী ইউনিয়নে তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলায় টেকসই প্রযুক্তির মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহের প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলার তিনটি উপজেলায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা পৌর এলাকায় সোলার প্যানেল পাম্প হাউজ স্থাপন করে সুপেয় পানি সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালী পৌর এলাকায় রিভার্স ওসমোসিস প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় জনগণের জন্য পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকা সহায়তা প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। 

নোয়াখালীর চাটখিল পৌর এলাকায় খাল পুনঃখনন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সব উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য পৃথক তিনটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সভায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় সরকারের লক্ষ্য হলো জনগণকে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয়, পার্বত্য ও খরা-প্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নত হবে।”

সভায় কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী মো. ওয়ালি-উল-হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ