রাজশাহীর চাই ২৪১ রান

খুলনায় রাজশাহী বিভাগকে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল বিভাগ। রাজশাহী আজ দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে। ১ উইকেটে ২২ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৬৮ রানে। সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেছেন ফজলে রাব্বি। এ ছাড়া মঈন খান ৪০, তাসামুল হক ৩৯ ও শামসুর রহমান ৩২ রান করেছেন।

জয় থেকে ১৮৫ রান দূরে খুলনা

চট্টগ্রামে খুলনা বিভাগকে ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৫২ রান তুলে জয়ের সঙ্গে দূরত্বটাকে ১৮৫ রানে নামিয়ে আনে খুলনা। ৪০ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত আছেন প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে আউট হওয়া সৌম্য সরকার। খুলনা ব্যাট করেছেন দিনের শুরুতেও। ৮ উইকেটে ২৪৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি প্রথম ইনিংসে থামে ২৮১ রানে। ৫৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা জিয়াউর রহমান আউট হয়েছেন ৭৭ রানে।

প্রথম ইনিংসে ৭০ রানের লিড পাওয়া চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ১৬৬ রানে। ৬০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটির হয়ে হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন আটে নামা নাঈম হাসান। প্রথম ইনিংসেও ৪৫ রান করেছিলেন জাতীয় দলের এই অফ স্পিনার। শেষ চার জুটিতে ১০৬ রান যোগ করে চট্টগ্রাম। খুলনা দুই মেহেদী, পেসার মেহেদী রানা ও অফ স্পিনার মেহেদী হাসান নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

১২৭ রানে এগিয়ে সিলেট

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে সিলেট বিভাগ। তাতে রংপুরের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১২৭ রানে এগিয়ে গেছে দলটি। সিলেটের ওপেনার মুবিন আহমেদ ৭৬ রানে অপরাজিত আছেন। ষষ্ঠ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা মুবিনের এটাই সর্বোচ্চ ইনিংস।

এর আগে ৮ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা রংপুরের প্রথম ইনিংস থামে ২৪৫ রানে। দিনে রংপুরের যোগ করা ৫৮ রানের ৪৩-ই করেছেন নয়ে নামা রবিউল হক। ২৮ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে মিডিয়াম পেসার রবিউলের এটি দ্বিতীয় ফিফটি ও সর্বোচ্চ ইনিংস।

ড্র-র পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ ম্যাচ

কক্সবাজার একাডেমি স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষেও শেষ হয়নি ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস। বিনা উইকেটে ১৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা ঢাকা বিভাগ দিন শেষে করেছে ৪ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে। ময়মনসিংহের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৯৮ রানে পিছিয়ে আছে ঢাকা।

ঢাকার ইনিংসে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেছেন ওপেনার জয়রাজ শেখ। এ ছাড়া ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মার্শালের এটি ৭০তম ৫০ ছাড়ানো ইনিংস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর ছ ন দ ব ত য় ইন প রথম ইন র প রথম উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক আফিফুরের গফরগাঁওয়ে প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্যোগ

তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশি তরুণেরা যেখানে বিদেশে পাড়ি জমান ভালো চাকরির আশায়, সেখানে ময়মনসিংহের আফিফুর রহমান বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পথ। কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলে পাস করে দেশের বাইরে নয়, ফিরে গেছেন নিজ উপজেলায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের ষোলহাসিয়া গ্রামে। প্রযুক্তির জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিয়ে গড়ে তুলছেন ভবিষ্যতের ডিজিটাল নাগরিকদের।

মানবসম্পদ গড়ার কারিগর

আফিফুর রহমান, বর্তমানে একজন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) শিক্ষক ও প্রশিক্ষক। ২০১৭ সালে প্রথম ৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তাঁর বন্ধুর কোচিং সেন্টারের একটি কক্ষে শুরু করেন টিউশনি। দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লে তিনি আলাদা একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে পড়ানো শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন কোরডেফট আইসিটি প্রাইভেট প্রোগ্রাম ও কোরডেফট কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। কোরডেফট আইসিটি প্রাইভেট প্রোগ্রামের আওতায় পড়ানো হয় উচ্চমাধ্যমিক স্তরের আইসিটি বিষয় এবং কোরডেফট কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে শেখানো হয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩ মাস ও ৬ মাস মেয়াদি সার্টিফিকেট ইন কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স এবং সেই সঙ্গে ৩ মাস মেয়াদি গ্রাফিক ডিজাইন কোর্স।

আফিফুরের চাকরিজীবন

ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে স্নাতক (সম্মান) হয়ে আফিফুরের লক্ষ্য ছিল উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বিদেশে যাওয়া। পরিবারে একমাত্র ছেলে হওয়ায় বাবা-মায়ের আপত্তিতে সেই স্বপ্ন স্থগিত রাখেন। সিদ্ধান্ত নেন, দেশেই পেশাজীবন গড়বেন। পরবর্তী সময়ে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চট্টগ্রামে চাকরির সুযোগ পেয়েও সেখানে না গিয়ে নিজ জেলা ময়মনসিংহের ক্যাপিটাল কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন।

চোখ বাঁচাতে চাকরি ছাড়েন

পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকায় দুটি কোম্পানিতে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেন। একটিতে ৬ মাস ও অন্যটিতে ৩ মাসের মতো চাকরি করেন। সে জায়গায় কাজটি ছিল সম্পূর্ণ কম্পিউটার–নির্ভর। কয়েক মাস পরই তাঁর জন্য চাকরিটি করা কঠিন হয়ে পরে। দীর্ঘ সময় কম্পিউটার পর্দায় তাকিয়ে থাকার কারণে, আফিফুরের চোখে দেখা দেয়, ‘ড্রাই আই সিনড্রোম’। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে তাঁরা জানান, দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে কাজ করা আফিফুরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। অনতিবিলম্বে তাঁকে পেশা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। চোখ বাঁচাতে চাকরি ছাড়েন আফিফুর। এরপর ভিন্ন ভিন্ন পেশায় কয়েকটি চাকরি সন্ধান করেন। কিন্তু আশানুরূপ না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন নিজ গ্রামে ফিরে যাওয়ার।

নিজ এলাকায় ফিরে যাওয়া

নিজ উপজেলা ময়মনসিংহের গফরগাঁও ফিরে গিয়ে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। ধীরে ধীরে দেখলেন, তিনি ছাড়া বন্ধুরা সবাই ব্যস্ত, বারবার আড্ডা দিতে ডাকলে তাঁরাও কিছুটা বিরক্তই হন। খোঁজ নিয়ে জানলেন, বেশির ভাগ বন্ধুই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি, পদার্থ, গণিত ইত্যাদি বিষয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে বন্ধুদের উৎসাহে তিনি অবসর সময় কাটানোর জন্য মাত্র ৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন।

ক্লাস নিচ্ছেন  আফিফুর রহমান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাজিরায় খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
  • টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৫ বছর: রানে মুশফিক, উইকেটে সাকিব ও আরও যাঁরা সেরা
  • ময়মনসিংহ নগরীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
  • কোনো এক ঝুমকোলতার কথা 
  • ময়মনসিংহে বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
  • বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, গৌরীপুর বিএনপির আহ্বায়কসহ ৫ জন বহিষ্কার
  • বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় অসুস্থ হয়ে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
  • কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক আফিফুরের গফরগাঁওয়ে প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্যোগ