দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের হজের অনুমতি দেবে না সৌদি আরব সরকার। প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী পাঠানো কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হজযাত্রীরা হজ পালনের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত এরূপ প্রত্যয়ন দিতে হবে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

হজযাত্রী পরিবহন করবে তিন এয়ারলাইনস

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি

এ বিষয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে হজযাত্রী পাঠানো দেশগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে একজন হজযাত্রী যেসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না, তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

কোনো হজযাত্রীর শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অকার্যকর হলে তিনি হজের অনুমতি পাবেন না। এর মধ্যে রয়েছে ডায়ালাইসিস চলছে এমন কিডনি রোগ, গুরুতর হৃদরোগ, সবসময় অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এরূপ ফুসফুসের রোগ ও ভয়াবহ লিভার সিরোসিস। এছাড়া গুরুতর স্নায়ুবিক কিংবা মানসিক রোগ, স্মৃতিভ্রষ্টতাসহ অতি বয়স্ক ব্যক্তি, শেষ প্রান্তিকের গর্ভাবস্থা এবং যেকোনও স্তরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায়ও হজের অনুমতি মিলবে না।

সংক্রামক রোগ, যেমন-যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর এবং কেমোথেরাপি কিংবা অন্য কোনও নিবিড় ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তিকেও হজের অনুমতি দেবে না সৌদি আরব সরকার।

হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে হজযাত্রী পাঠানো কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত প্রত্যয়ন করে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য আবশ্যিকভাবে বৈধ স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব।

আগমন ও বহির্গমন প্রান্তে মনিটরিংয়ে পরিপূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যুকৃত স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে মনিটরিং দল। কোনো দেশের হজযাত্রীর এরূপ (তালিকাভুক্ত) স্বাস্থ্য পাওয়া গেলে সে দেশের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নেবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড.

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “মসৃণ ও নিরাপদ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশ থেকে হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।”

দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজের নিবন্ধন না করার জন্য নিবন্ধন শুরুর আগেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে সৌদি সরকারের অনুরোধে সে দেশে অনুষ্ঠিত একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেছেন দুই বাংলাদেশি চিকিৎসক।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজ স দ আরব ইসল ম হজয ত র র অন র ধ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

২৮০ আসন কমেছে সরকারি মেডিকেল কলেজে

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের আসন কমাচ্ছে। আজ সোমবার একটি স্মারকে সরকারি মেডিকেল কলেজে ২৮০টি আসন কমানোর কথা বলেছে মন্ত্রণালয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজের আসন কমানোর স্মারকও খুব শিগগির প্রকাশ হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে ৩৭টি। এই কলেজগুলোতে আসন ছিল ৫ হাজার ৩৮০টি। এর মধ্যে ১৪টি মেডিকেল কলেজের মোট ৩৫৫টি আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে তিনটি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৭৫টি বাড়িয়েছে। ফলে দুই মিলিয়ে আসন কমছে ২৮০টি।

দেশের আটটি পুরোনো সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ছিল ২৫০টি করে। এদের প্রতিটি থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। এই কলেজগুলো হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে আসন ছিল ২৩০টি, তা থেকে ৫টি কমানো হয়েছে। হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে আসন ছিল ১০০টি, কমিয়ে ৫০টি করা হয়েছে।

নেত্রকোনা, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে আসন ছিল ৭৫টি করে। প্রতিটি থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে।

গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ এবং টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে আসন ২৫টি করে বাড়ানো হয়েছে। ২৩টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত আছে।

দেশে মোট মেডিকেল কলেজ ১১০টি। সরকারি ৩৭টি বাদে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৬৭টি। এ ছাড়া একটি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি বেসরকারি আর্মি মেডিকেল কলেজ আছে।

গতবার মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএসে ভর্তিতে প্রতিটি আসনের জন্য প্রার্থী ছিলেন ২৫ জন।

আরও পড়ুনমেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, নম্বর কাটাসহ যে যে পরিবর্তন৩০ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ