প্রাচীনকাল থেকেই দেখা গেছে, ভ্রমণের প্রতি মানুষের এক অদ্ভুত আকর্ষণ ও ভালোবাসা। ভ্রমণপ্রেমীরা সব সময় সন্ধানে থাকেন নতুন কোনো জায়গা খুঁজে বের করার। কারণ, ভ্রমণ আমাদের মন ও আত্মাকে সতেজ করে তোলে, নতুন অভিজ্ঞতা দেয় এবং জ্ঞানের পরিসীমাকে বৃদ্ধি করে।

কিন্তু গতানুগতিক ভ্রমণ অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই পটভূমিতে সম্প্রতি ‘পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ’ বা ‘ইকো–ফ্রেন্ডলি ট্রাভেলিং’ নিয়ে বেশ চর্চা চলছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকৃতি, বন্য প্রাণী ও স্থানীয় সংস্কৃতিকে অক্ষুণ্ন রেখে ভ্রমণ নিশ্চিত করা। এটি ‘গ্রিন ট্রাভেল’ নামেও পরিচিত।

পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ কী

‘পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ’ এমন একটি দায়িত্বশীল পর্যটনব্যবস্থা, যা পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে যে স্থানে ভ্রমণ করা হচ্ছে, সেখানকার স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ও মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। জাতিসংঘ ২০০২ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইকোট্যুরিজম ইয়ার’ ঘোষণা করে, যা পরিবেশবান্ধব ভ্রমণের গুরুত্বকে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করে।

পরিবেশবান্ধব ভ্রমণের মূল লক্ষ্যগুলো হলো

পরিবেশগত সুরক্ষা: ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা এবং বর্জ্য, দূষণ ও কার্বন নিঃসরণ কমানো।

অর্থনৈতিক সুবিধা: স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা, যাতে তারা পরিবেশ সংরক্ষণে উৎসাহিত হয়।

সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি: স্থানীয় মানুষের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং তাঁদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে যুক্ত হওয়া।

শিক্ষা ও সচেতনতা: পর্যটকদের মধ্যে পরিবেশ ও সংস্কৃতির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ কেন জরুরি

প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন সুন্দরবন, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, রাতারগুল ইত্যাদি স্থানকে বাংলাদেশের ‘পর্যটন খাতের রত্ন’ বলা চলে। তবে পর্যটকদের চাপ, বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা ও অযত্নের কারণে এসব স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ এসব হুমকি কমাতে সহায়তা করে এবং প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে দরকার কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশের স্কোর সবচেয়ে কম।

উদ্ভিদ, প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক লেখক মোকারম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটনব্যবস্থা পরিবেশবান্ধব তো নয়ই, জনবান্ধবও নয়। পরিবেশগত দিক দিয়ে উচ্চ সংবেদনশীল স্থানগুলো নিয়ে সরকার ও সাধারণ জনগণ উভয়ের সচেতনতা এখন অত্যন্ত জরুরি। অপরিকল্পিত পর্যটনব্যবস্থার কারণে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ইকোসিস্টেমগুলো ধ্বংস হতে বসেছে। আসলে পরিবেশ ও প্রকৃতির বিষয়গুলো মাথায় রেখেই প্রতিটি পর্যটন স্থানের পর্যটনব্যবস্থা সাজানো উচিত।’

মোকারম হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে ইকোট্যুরিজম বাস্তবায়নে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, পর্যটন ও পর্যটন ব্যবস্থাপনা নিয়ে জনবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব যুগোপযোগী নীতিমালা না থাকা। দ্বিতীয়ত, সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা স্থানগুলোকে চিহ্নিত করতে না পারা, অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা সংকট। তৃতীয়ত, ইকোট্যুরিজমের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ দিক স্কুলিং–ব্যবস্থায় জোর না দেওয়া।’

দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সংস্কৃতি রক্ষায় টেকসই ইকোট্যুরিজম উন্নয়ন এখন অপরিহার্য। এটি নিশ্চিত করতে প্রথমেই সুন্দরবন, কক্সবাজার বা বান্দরবানের মতো পর্যটন এলাকাগুলোর জন্য বাস্তুতন্ত্রভিত্তিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে পর্যটকদের ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করতে হবে। অবকাঠামো নির্মাণে স্থানীয়ভাবে পাওয়া উপকরণ (যেমন বাঁশ) ও সবুজ প্রযুক্তি (যেমন সৌরশক্তি) ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব আবাসন তৈরি করা জরুরি। সেই সঙ্গে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন থেকে পাওয়া আয়ের একটি অংশ সরাসরি স্থানীয় সংরক্ষণ তহবিলে জমা করে তাঁদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যেতে পারে, যাতে স্থানীয় লোকজন নিজেরাই প্রকৃতির রক্ষক হিসেবে উৎসাহিত হন। পাশাপাশি সবাইকে নিজ উদ্যোগে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। সবার সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া পরিবেশের সুরক্ষা সম্ভব নয়।

পরিবেশবান্ধব পর্যটননীতি নিয়ে মোকারম হোসেন বলেন, ‘এটি অনেক বড় একটি বিষয়। তবে নিরাপত্তা, পরিবেশ, সংগতি, যাতায়াতব্যবস্থা, সচেতনতা, শিক্ষা, অবকাঠামো, প্রচার ইত্যাদি বিষয় সামনে রেখে কাজ করলে একটি পরিবেশবান্ধব পর্যটননীতি তৈরি করা সম্ভব। এ ছাড়া পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় পর্যটন ও পর্যটক বিষয়ে নিয়মিত আলোচনার ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। সচেতনতামূলক তথ্যচিত্র তৈরি ও প্রদর্শনের পাশাপাশি তাঁদের আইনগত দিকগুলো বোঝানোও জরুরি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর ব যবস থ ভ রমণ র পর ব শ প রক ত স রক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

চার আসনই পুনরুদ্ধার চায় বিএনপি, নতুন মুখ নিয়ে মাঠে জামায়াত

লক্ষ্মীপুর বিএনপি–প্রভাবিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। দলটি ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জেলার চারটি আসনেই জিতেছিল। ২০১৪ সালে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে। একতরফা ওই নির্বাচনে সব আসন আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। এবার সেটা ফিরে পেতে তৎপর বিএনপি।

চারটি আসনের মধ্যে দুটিতে ইতিমধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। একটিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অন্যটিতে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া। বাকি দুই আসন জোটসঙ্গীদের জন্য রাখা হয়েছে বলে আলোচনা রয়েছে। এই ব্যাপারে শিগগির সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্র থেকে জানা গেছে।

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী আগেই সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এ জেলা থেকে সংসদ নির্বাচনে আগে কখনো জামায়াত জেতেনি। জামায়াতের প্রার্থীরা সবাই নতুন মুখ। তাঁরা কয়েক মাস ধরেই এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন।

তবে এ জেলা থেকে জামায়াতের কেউ কখনো সংসদ সদস্য হননি। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাস্টার শফিক উল্লাহ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন নোয়াখালী-১২ আসন (বর্তমান লক্ষ্মীপুর-৩) থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেও জিততে পারেননি।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ)

এ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। ২০১৮ সালে এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির জোটসঙ্গী বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি এবারও এ আসন থেকে মনোনয়ন চান। তিনি আরও আগে থেকেই নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।

শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বিএনপি ও জোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মাঠে আছি। রামগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে, জানে, আমি তাদের জন্য কাজ করেছি। তাই এবারও আশা করছি, বিএনপি জোট আমাকে মনোনয়ন দেবে।’

তবে এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ, রামগঞ্জ উপজেলার বর্তমান সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক সভাপতি শাহাব উদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হকের ছেলে মাশফিকুল হক ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন।

তবে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর–১ আসনে শাহাদাত হোসেন সেলিম ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাকে নিশ্চিত করেছেন।’

এ আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের রামগঞ্জ উপজেলা আমির নাজমুল হাসান পাটওয়ারী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রামগঞ্জের মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি ও সুশাসন চায়। আমি তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’

আবার এ আসনে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম প্রার্থী হতে পারেন, এমন আলোচনা অনেক দিন ধরে রয়েছে। তাঁর ভাই ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলমও এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন।

মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই মাহফুজ আলম যদি সরকার থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে তাঁর নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তা না হলে মাহবুব আলম নিজে এনসিপি থেকে নির্বাচন করতে চান। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের আংশিক)

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে দলীয় কোন্দল এড়াতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবার এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল খায়ের ভূঁইয়া। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

আবুল খায়ের ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই আসন বিএনপির ঘাঁটি। তৃণমূলের ঐক্য ও জনগণের সমর্থন থাকলে আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’

এখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দলটির জেলা আমির এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া। নির্বাচন সামনে রেখে তিনি ও দলের নেতা-কর্মীরা সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছেন।

রুহুল আমিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ আসনে এবার বিএনপির জন্য বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী।’

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদরের একাংশ)

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এই আসনে দলীয় প্রার্থী। চারটি আসনের মধ্যে এটিতেই বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এর আগেও দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রথম আলোকে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর আমার জন্মভূমি, আমার রাজনীতির মাটি। জনগণের ভোটেই আমি দুবার সংসদ সদস্য হয়েছি, এবারও বিশ্বাস করি, মানুষ আবার বিএনপিকে বিজয়ী করবে।’

এখানে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি।

রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরের জনগণ পরিবর্তন চায়। একটি সৎ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী সমাজ চায়। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নেমেছি।’

এ আসনে গণ অধিকার পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ সক্রিয় রয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর)

বিএনপি এ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। আসনটি বিএনপির জোটসঙ্গী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জেএসডি) ছাড়া হতে পারে, এমন গুঞ্জন রয়েছে।

দলটির প্রধান আ স ম আবদুর রব এই আসন থেকে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির সহশিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান। তিনি এবারও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।

অপর দিকে আ স ম রবের স্ত্রী তানিয়া রব এবার জেএসডি থেকে বিএনপি জোটের প্রার্থী হতে চান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আ স ম আবদুর রব অসুস্থ, কিন্তু তাঁর আদর্শ ও লড়াই এখানকার মানুষ বুকে ধারণ করে রেখেছেন। আমি সেই আদর্শের উত্তরাধিকার হিসেবে জনগণের পাশে থাকতে চাই।’

তবে জোটের জন্য আসন ছাড়তে নারাজ বিএনপির নেতা এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দুবার এই এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। ভালোমন্দ সময়ে মানুষের পাশে ছিলাম, উন্নয়ন করেছি আন্তরিকভাবে। এখন যদি জোটগত কারণে অন্য কাউকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, আমি জনগণের সেবা থেকে সরে দাঁড়াব না।’

আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী এ আর হাফিজ উল্যা। তিনি দলের জেলা সেক্রেটারি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রামগতি ও কমলনগরের মানুষ অনেক অবহেলিত। জনগণের দোয়া ও সমর্থন নিয়ে এই অবহেলার রাজনীতি থেকে মুক্তি দিতে চাই।’

এ ছাড়া এই আসনে ইসলামী আন্দোলনের উপদেষ্টা খালেদ সাইফুল্লাহ, গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রেদোয়ান উল্যা খান, এবি পার্টির প্রার্থী মিয়া আরিফ সুলতান সক্রিয় রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জনগণের টাকা লুট হয়েছে: সাইদ আহমেদ
  • চার আসনই পুনরুদ্ধার চায় বিএনপি, নতুন মুখ নিয়ে মাঠে জামায়াত
  • স্টিমরোলার নির্যাতনেও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি: মির্জা ফখরুল
  • ‘প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে’: জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
  • সংবাদমাধ্যম কখন নিজেকে প্রশ্ন করার সাহস রাখে
  • জামায়াত নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের
  • মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেই দেশে শান্তি লঙ্ঘিত হবে: সুলতানা কামাল
  • প্রশাসন নিয়ে শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য তার নিজের: জামায়াত 
  • বিদেশিদের সঙ্গে বন্দর চুক্তি বাতিল না করলে যমুনা ঘেরাওয়ের ঘোষণা বাম জোটের
  • কয়েক দিনের মধ্যেই এনসিপি–এবি পার্টিসহ নতুন জোট: মজিবুর রহমান