চলতি বছরের শুরুতে মুম্বাইয়ে নিজের বাড়িতেই সাইফ আলী খান ছুরিকাহত হন। এবার সেদিনের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। কেন হাসপাতালে ঢোকার সময় হুইলচেয়ার নিতে অস্বীকার করেছিলেন, তা–ও খোলাসা করলেন।
আস্থাভাজন প্রাইমের নতুন শো ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কেল’-এর সবশেষ পর্বে কথা বলতে গিয়ে সাইফ আরও জানান যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি ফিরতেও অস্বীকার করেন। ছুরিকাহতের পর অটোতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে যান সাত বছরের ছেলে তৈমুর। এমনকি হাসপাতালে পৌঁছেও হুইলচেয়ার নিতে অস্বীকার করেন সাইফ।

সাইফ জানান যে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে হুইলচেয়ারের পরিবর্তে স্ট্রেচার চেয়েছিলেন। অভিনেতা বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে ঢুকেছিলাম, সেই সময় জরুরি বিভাগের সবাই ঘুমিয়ে ছিল। আমি একজনকে বললাম, আমরা কি স্ট্রেচার পেতে পারি? সে বলল, “হুইলচেয়ার?” আমি বললাম, না, আমার মনে হয় আমার স্ট্রেচার দরকার। সে বলল, ‘না।’ সে ঘুম থেকে উঠছিল না দেখে বললাম, “আমি সাইফ আলী খান, এটা একটা মেডিকেল ইমার্জেন্সি।”’

সাইফ আলী খান। এএনআই.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ইলচ

এছাড়াও পড়ুন:

উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়

উচ্চশিক্ষার বিস্তার ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ধারাবাহিক ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এই বিদ্যাপীঠ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে উচ্চশিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। গত শনিবার (২২ নভেম্বর)বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের এক্সপো ভিলেজে আয়োজিত স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সমাবর্তন ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারাহনাজ ফিরোজ ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইউনুছ মিয়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আবদুল মতিন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ স্নাতকদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের সামর্থ্য, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের ওপর আস্থা রাখুন। জয়ের পরিকল্পনা করুন, জয়ের জন্য প্রস্তুত হোন এবং জয়কে প্রত্যাশা করুন। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের এই যাত্রায় আজকের দিনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতূহল ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখবে।’ কর্মজীবনে প্রবেশের আগে সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘স্টামফোর্ড থেকে অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে মূল্যবোধের সঙ্গে মিলিয়ে কাজে লাগাতে হবে। আজকের এই দিন শুধু শিক্ষাজীবনের সমাপ্তি নয়; এটি অধ্যবসায়, বুদ্ধিবৃত্তিক অন্বেষণ ও উৎকর্ষ অর্জনের নিরলস প্রচেষ্টার উজ্জ্বল স্বীকৃতি। সমাবর্তন হলো শিক্ষাঙ্গন থেকে বাস্তব জীবনের বিস্তৃত জগতে প্রবেশের এক সেতুবন্ধন। আপনাদের সততা, সহমর্মিতা ও উদ্ভাবনী চিন্তার চর্চা যেন ভবিষ্যতের দিনগুলোতেও বজায় থাকে।’

সমাবর্তন ২০২৫–এ ৫টি অনুষদ ও ১৪টি বিভাগ থেকে মোট ১ হাজার ৪০৭ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সর্বোচ্চ সিজিপি অর্জনের জন্য পাঁচ অনুষদ থেকে মোট ১০ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ৩০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও শিক্ষক, দেশের বুদ্ধিজীবী, সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, সদস্য, উপাচার্য ও উপ–উপাচার্য এবং আমন্ত্রিত গণমাধ্যমকর্মীরা।

সমাবর্তনের শেষ পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করে ব্যান্ড দল ওয়ারফেজ ও বেঙ্গল সিম্ফনি। বিজ্ঞপ্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ