শিশুরা চুইংগাম চিবিয়ে খেতে পছন্দ করে। অনেক সময় ইচ্ছা করে অথবা অসচেতনভাবে চুইংগাম গিলে ফেলে। 

যুক্তরাষ্ট্রের ‘জার্নাল আব পেডিয়াট্রিকস’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য, ‘‘শিশুরা যদি একাধিক চুইংগাম গিলে ফেলে, তবে তা অন্ত্রে বাধা তৈরি করতে পারে।’’

চুইংগাম পেটে গেলে যা ঘটে

চুইংগাম গিলে ফেললে অন্যান্য হজম না হওয়া খাবারের অংশের সঙ্গে মিশে যায়। এরপর এসব উপাদান মিলেমিশে ‘বেজোয়ার’ নামের একটি আঠালো পিণ্ডের মতো তৈরি করে ফেলে। পরে এই পিণ্ড বড় হয়ে গেলে  অন্ত্রের পথকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। 

চুইংগামের ভেতরের যে চিনি ও ফ্লেভার থাকে সেটা সাধারণত হজম প্রক্রিয়াতেই গলে যায়। আর বাকি যে শক্ত গাম বা আঠালো অংশটি থাকে, সেটা অক্ষত অবস্থাতেই অন্ত্রের মধ্য দিয়ে চলতে শুরু করে। 
সাধারণত গিলে ফেলার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই চুইংগাম স্বাভাবিকভাবে মলের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বড়রা মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনাবশত চুইংগাম গিলে ফেললে খুব বেশি ক্ষতির কারণ নেই। তবে শিশুরা বিশেষ করে এই ঝুঁকির মধ্যে থাকে। কারণ, তাদের পরিপাকতন্ত্র তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট হয়। শিশুরা চুইংগাম গিলে ফেললে দীর্ঘস্থায়ীভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভুগতে শুরু করতে পারে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় জামায়াতের প্রার্থীর প্রচারে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পাবনা-৪ আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের প্রচারে হামলা করা হয়েছে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

হামলায় আবু তালেব মন্ডলের গাড়ি, বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কুড়িগ্রাম-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়াগড়ি এলাকায় হামলা করা হয়। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. স. ম আব্দুন নুর বলেন, ‘‘আপনারা (সাংবাদিক) স্পটে আসেন, আমরা স্পটে আছি। স্পটে ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। বক্তব্য নিতে হলে আরো দুই ঘণ্টা পর নিতে হবে।’’  

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদী উপজেলার  চড় গড়গড়ি এলাকায় দুই দিন আগে স্থানীয় জামায়াতের কর্মীদের মারধর করে স্থানীয় বিএনপির কর্মী মক্কেল মৃধা ও তার লোকজন। সেই ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ওই এলাকায় প্রচার চালাতে যান পাবনা-৪ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল ও তার সমর্থকরা। তারা চর গড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছালে মক্কেল মৃধার ছেলের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। পরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে মৃধাপাড়ায় আবারো হামলা চালায় মক্কেল মৃধার লোকজন। আবু তালেব মন্ডলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি সামান্য আহত হন। জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, ‘‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় আজকে সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার গাড়িসহ আমাদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। অন্তত ৬০-৭০ জন আহত হয়েছেন।’’

এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ