বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) নতুন সভাপতি হয়েছেন মোহা. খোরশেদ আলম। তিনি স্থানীয় লিটল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টিমেট ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা (এমডি) এবং বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর পরিচালক। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এক্সটল (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এমডি জামিলুর রহমান।

বিসিসিসিআইয়ের তিনটি জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন চায়না গোল্ডভিউ রিসোর্স কোম্পানির এমডি হান জিংচাও, ইনভেস্টরস সার্ভিস কোম্পানির চেয়ারম্যান এ জেড এম আজিজুর রহমান ও শ্লিড প্রো ইন্টিগ্রেটেড সিউরিটির এমডি জি এম কামরুল ইসলাম। সংগঠনটির নবনির্বাচিত চার সহসভাপতি হলেন ইউনিভেঞ্চারস লিমিটেডের এমডি মোহা.

হাফিজুর রহমান খান, হুইসিদা ইন্টারন্যাশনাল বিডির এমডি চাও চোংচোং, এআরকে কনসালট্যান্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডি খন্দকার আতিকুর রহমান ও এমথ্রি গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মাসুদ আলী খান। এ ছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন নাজিবা বিজনেস সলিউশনসের চেয়ারপারসন নাসিমা জাহান বিজলী।

নতুন সভাপতি মোহা. খোরশেদ আলমের নেতৃত্বাধীন বিসিসিসিআইয়ের ২৪ সদস্যের কমিটি গত বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নিয়েছে। তার আগে ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোহা. খোরশেদ আলম নেতৃত্বাধীন প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়।

বিসিসিসিআই আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, চেম্বারের প্রশাসক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নারগিস মুরশিদা নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। গত মার্চে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাঁকে এই সংগঠনের প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়।

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন স্পোটর্স ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী ফারহান আহমেদ খান, ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্সের এমডি তালুকদার মো. জাকারিয়া হোসেন, ব্লুবেরি করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, হেবেই উইলসন টেক্সটাইলের এমডি জিন্নাতুল ইসলাম, ডাইসিন-কেম ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মোহাম্মদ আমানুর রহমান, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকসের পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এস এস ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী সেলিমুজ্জামান মোল্লা, এস এল ইনোভেটিভ ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি সান পিন, সেফসি বাংলাদেশের এমডি এ টি এম আলতাফ হোসেন, ট্রানস টিমের পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, হুলং ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. রাকিবুল হক, মার্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসের এমডি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল আজাদ, সিনোক সেলিং টেকনোলজির স্বত্বাধিকারী আসিফ হক, ট্রায়াম্ফ অ্যাগ্রোর এমডি এস এম মুস্তফা জালাল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইন ড স ট র ম হ ম মদ র রহম ন হয় ছ ন র এমড

এছাড়াও পড়ুন:

‘৫ দফা দাবি মেনে নিন, অন্যথায় আবার গণ–আন্দোলনের সূচনা হবে’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি করায় বলা হচ্ছে, আমরা নাকি নির্বাচন চাই না। অথচ এক বছর আগেই ২০০ আসনে আমরা প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছি। বড় দলটির একটি আসনে এখানো ১০ জনের বেশি প্রার্থী কাজ করছেন। প্রার্থী ঘোষণা করে দেখেন না, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।’

আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেটে জামায়াতের কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এহসানুল মাহবুব এ কথা বলেন। নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করে সিলেট মহানগর জামায়াত।

অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে উল্লেখ করে এহসানুল মাহবুব আরও বলেন, ‘কেউ কেউ পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) বোঝেন না। সময় গেলে এটাও বুঝবেন। কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) পদ্ধতির মতো পিআর পদ্ধতিও এ দেশে কার্যকর এবং গ্রহণযোগ্য হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানসহ জামায়াত ঘোষিত ৫ দফা দাবি মেনে নিন। অন্যথায় আবার গণ–আন্দোলনের সূচনা হবে।’

আরও পড়ুন‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই, উপদেষ্টা অনেকের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার২ ঘণ্টা আগে

এহসান মাহবুব বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ভুল বোঝানো হচ্ছে। অথচ পিআর পদ্ধতি হলে বেশি ভোট কাস্ট হবে। মনোনয়ন–বাণিজ্য বন্ধ হবে। জনগণের ভোটের সঠিক মূল্যায়ন থাকবে। তাই আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে। স্বৈরশাসকের সঙ্গে থাকা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে কোর্ট পয়েন্ট থেকে গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা মোড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিলে সিলেট মহানগর ও বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ড-ইউনিটের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন।

মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও মাওলানা ইসলাম উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য সিলেট জেলার আমির হাবিবুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন জেলার নায়েবে আমির আবদুল হান্নান, মহানগরের নায়েবে আমির নূরুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর সভাপতি জামিল আহমদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সভাপতি শাহীন আহমদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি তারেক মনোয়ার প্রমুখ।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে গণমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে সিলেট নগরের বন্দরবাজার থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা এলাকায় গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সিলেট মহানগরী সভাপতি তাজুল ইসলাম হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদু হান্নান। মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরে মাওলার সঞ্চালনায় গণমিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগরের সহসভাপতি শাহ আশিকুর রহমান, সিলেট জেলার সহসভাপতি মুখলিসুর রহমান, মহানগরের সহসভাপতি শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলয়াস, আবদুল হান্নান তাপাদার, মুহাম্মদ ফয়জুল হক, ইমদাদুল হক নোমানী, জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসাইন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘৫ দফা দাবি মেনে নিন, অন্যথায় আবার গণ–আন্দোলনের সূচনা হবে’