১০% নগদ লভ্যাংশ দেবে বিডি ল্যাম্পস
Published: 13th, October 2025 GMT
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে বিডি ল্যাম্পস। ওই সময়ের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে তারা।
আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিডি ল্যাম্পসের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩ নভেম্বর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি (ইপিএস) লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ২২ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৯৩ পয়সা।
একই সঙ্গে চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে বিডি ল্যাম্পস। ডিএসইর ওয়েবসাইটের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা—গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। এই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১৪ পয়সা, আগের বছর ছিল ঋণাত্মক ২০ টাকা ৮০ পয়সা।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মোট মুনাফা বেড়েছে ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ; কিন্তু আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি এবং শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৮ শতাংশে উন্নীত হওয়ায় নিট ক্ষতি হয়েছে। সরবরাহকারীদের প্রদেয় অর্থের পরিমাণ কমে যাওয়ায় শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ ধনাত্মক হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ ও সমপরিমাণ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে তারা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগ আমলের তিন নির্বাচনে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ জানতে চায় তদন্ত কমিশন
আওয়ামী লীগ আমলের বিতর্কিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) সংগঠিত বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ বা তথ্য জানতে চায় জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশন।
দেশের যেকোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সরাসরি, কমিশনকে ই-মেইল করার মাধ্যমে, কমিশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘মতামত ও সুপারিশ’ অপশন-এর মাধ্যমে অথবা ডাকযোগে তথ্য বা অভিযোগ দিতে পারবেন। আজ রোববার পত্রিকায় প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিগত তিনটি বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্ত এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত ২৬ জুন রাতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক, আইনজীবী তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আবদুল আলীম।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে কমিটির সদস্য মো. আবদুল আলীম প্রথম আলোকে বলেন, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ কমিশনে তথ্য বা অভিযোগ দিতে পারবে। এরপর কমিশনের একটি প্রতিবেদন হবে, সেখানে এর একটি প্রতিফলন থাকবে।
এদিকে কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠাকল্পে এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচনধারা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ‘জাতীয় নির্বাচন (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) তদন্ত কমিশন’ গঠন করেছে। চলমান তদন্ত কার্যক্রমে অংশ নিতে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি প্রতি কর্মদিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সশরীর কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংঘটিত বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ বা তথ্য জানাতে পারবেন।
এতে বলা হয়েছে, কমিশনের ই-মেইলে ([email protected]) অথবা ওয়েবসাইটে (www.neic-bd.org) উল্লেখিত ‘মতামত ও সুপারিশ’ অপশন-এর মাধ্যমে অথবা ডাকযোগে অভিযোগ বা তথ্য প্রদান করতে পারবেন। এ ছাড়া টেলিফোনে বা সশরীর কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ বা তথ্য দিতে অফিস চলাকালে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। টেলিফোনে যোগাযোগ করার নম্বর ০২-২২২২১৫৬৪৭ আর মোবাইল নম্বর ০১৫৫০০৪২০০।