ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সাপের কামড়ে হৃদয় হোসেন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১২ অক্টোবর) রাতে শৈলকূপা উপজেলার আউশিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে হৃদয়কে সাপে কামড় দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আউশিয়া গ্রামের মিল্টন বিশ্বাসের ছেলে হৃদয় হোসেন ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন।

পুলিশ ও মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন, রাতে নিজ ঘরে  ঘুমিয়ে ছিলেন হৃদয় হোসেন। রাতের কোনো একসময় বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। পরে টের পেয়ে রাতেই তাকে উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। কুষ্টিয়ায় নেওয়ার পর সোমবার ভোরে মারা যান হৃদয় হোসেন।

শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

রাশেদ আল মামুন বলেছেন, রাতে ওই ছাত্রকে হাসপাতালে আনার পর অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়েছিল। তারপরও সুস্থ না হওয়ায় রাতেই তাকে আমরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করি।

শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেছেন, সাপের কামড়ে কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/সোহাগ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ লক প

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে পরিবার দেখিয়ে টাকা আয় করতে চাইনি: রিপন মিয়া

টেলিভিশন সাংবাদিক পরিচয়ে পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া। সোমবার তার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এ অভিযোগ আনেন। পোস্টে তিনি জানান, কোনো অনুমতি না নিয়ে সোমবার সকালে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করেন। এমনকি ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করতে থাকেন।

আরও পড়ুনহা হা হা এটাই বাস্তব...ভাইরাল কাঠমিস্ত্রি রিপন মিয়ার জীবনের গল্প০৪ অক্টোবর ২০২৫

রিপন মিয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি রিপন মিয়া। আপনাদের ভালোবাসা ও সাপোর্টে আমি ২০১৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই স্থানে আসতে পেরেছি। এ সময়ে আমার দ্বারা কারও ক্ষতি করার কোনো রেকর্ড নেই। এমনকি যেকোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটর আমাকে ডাকলে আমি সব সময় সাড়া দিয়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়তে থাকে, তখন আমার পেজ হ্যাকের চেষ্টা থেকে শুরু করে টিভিতে ইন্টারভিউ না দিলে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘আজ সোমবার ঢাকা থেকে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁরা কারও অনুমতি না নিয়ে আমার পরিবারকে ভিডিও করতে থাকেন এবং দূরে ক্যামেরা রেখে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করেন। এমনকি পরিবারের নারী সদস্য ঘরে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা অনুমতি না নিয়ে ঘরে ঢুকে যান।’

রিপন মিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ