ভবিষ্যতের কর্মবাজারে টিকে থাকতে তরুণদের মধ্যে নতুন দক্ষতা ও সচেতনতা গড়ে তুলতে চলছে ‘তারুণ্যের পৃথিবী’ শীর্ষক ধারাবাহিক সেমিনার। এর দ্বিতীয় আসর বসেছিল আজ বুধবার দুপুরে, রাজধানীর মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজে।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও প্রথম আলো যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে। রাজধানীর ৩০টি কলেজে পর্যায়ক্রমে এই আয়োজন হবে।

আজকের সেমিনারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), অটোমেশন, ডিজিটাল স্কিল, সাইবার নিরাপত্তা, সৃজনশীল চিন্তন ও অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।

দ্রুত প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও ভবিষ্যতের চাকরির বাজারের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার গুরুত্ব সেমিনারে তুলে ধরেন প্রথম আলো বন্ধুসভার জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী ফিরোজ। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে হয়তো এখনকার স্মার্টফোনও থাকবে না। বরং কানের দুল বা চশমার মতো জিনিসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে তরুণদের অবশ্যই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

চাকরি করতে চাইলে শুধুমাত্র জ্ঞানী হয়ে থাকলে চলবে না বলে উল্লেখ করেন মোহাম্মদ আলী ফিরোজ। তিনি বলেন, বরং সামাজিক প্রত্যাশা পূরণের জন্য হলেও নিজেকে তৈরি করতে হবে। ভবিষ্যতের চাকরির বাজার ও ডিজিটাল পরিবর্তনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা অপরিহার্য।

‘তারুণ্যের পৃথিবী’ শীর্ষক আয়োজনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছবিতে চুল দেখা না যাওয়ায় নাখোশ ট্রাম্প

টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নিজের ছবি দেখে নাখোশ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ছবিটিকে তিনি ‘সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ’ ছবি বলে মন্তব্য করেছেন।

টাইম ম্যাগাজিনের ১০ নভেম্বর সংখ্যায় গাজা যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। প্রচ্ছদে শিরোনামের সাথে প্রেসিডেন্টের একটি ছবি ছিল যা নীচে থেকে এবং মাথার পিছনে সূর্যের আলোয় তোলা হয়েছিল। এই ছবিটি দেখে তিনি নাখোশ হয়েছেন।

ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন , “টাইম ম্যাগাজিন আমার সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে ভালো গল্প লিখেছিল, কিন্তু ছবিটি সর্বকালের সবচেয়ে খারাপ হতে পারে।”

তিনি বলেছেন, “তারা আমার চুল অদৃশ্য করেছে এবং তারপরে আমার মাথার উপরে এমন কিছু ভাসছিল যা দেখতে ভাসমান মুকুটের মতো ছিল, কিন্তু অত্যন্ত ছোট ছিল। সত্যিই অদ্ভুত! আমি কখনই নীচের কোণ থেকে ছবি তুলতে পছন্দ করিনি, তবে এটি একটি অত্যন্ত খারাপ ছবি, এবং এটি প্রকাশ করার অযোগ্য। তারা কী করছে এবং কেন?”

ট্রাম্পের পক্ষে এই ছবির সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য পরিচালক মারিয়া জাখারোভা।

টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, “এটা আশ্চর্যজনক: এই ছবি নির্বাচন করেছে তাদের মানসিকতা সম্পর্কে অনেক বেশি প্রকাশ করে, এর মধ্যে থাকা ব্যক্তির চেয়ে। কেবল অসুস্থ মানুষ, বিদ্বেষ এবং ঘৃণায় আচ্ছন্ন মানুষ - এমনকি বিকৃত ব্যক্তিরাও - এই ধরনের ছবি বেছে নিতে পারেন। একই প্রকাশনা প্রচ্ছদে বাইডেনের প্রশংসাসূচক ছবি ব্যবহার করেছে, তার শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও, গল্পটি কেবল সময়ের জন্য আত্ম-অপরাধী।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ