দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগ যাচাই–বাছাই শেষে তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক চেয়ারম্যান নিজ সংস্থার অনুসন্ধানের মুখোমুখি হচ্ছেন।

দুদকের মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো.

মোকাম্মেল হক সাংবাদিকদের সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাঁর (ইকবাল মাহমুদ) বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি।

ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো কীভাবে অনুসন্ধান করা হবে এবং কারা দায়িত্ব পাবেন, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ কর্মজীবনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব থেকে শুরু করে ২০০৮ সালে সচিব পদে উন্নীত হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান।

২০১২ সালে সিনিয়র সচিব পদ সৃষ্টি হলে তিনি ওই পদেও নিয়োগ পান এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। একই বছরের নভেম্বরে এডিবির বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হন। ২০১৪ সালের নভেম্বরে অবসর নেওয়ার পর ২০১৫ সালে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও ২০১৬ সালের মার্চে দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কড়াইল বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন। সোমবার দুপুরে কড়াইল বস্তির ঈদগাহ মাঠে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চার হাজার মানুষের মধ্যে এ খাবার বিতরণ করা হয়।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা এ কে এম গোলাম কিবরিয়া অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে ফাউন্ডেশন ও সরকার সমন্বিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে কাজ করতে পারে।

কড়াইল বস্তিতে গত ২৫ নভেম্বর বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার পর ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় পরের দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডা. মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী ‘ফাইভ জিরো ক্যাম্পেইন’-এর মাধ্যমে মানুষের জীবন পরিবর্তনে কাজ করছে বলে জানান ফাউন্ডেশনের সদস্য আমেনা বেগম। বর্তমানে ফাউন্ডেশনটি ১৫টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও জানান তিনি।

আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের ফাউন্ডেশনটি সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে চলে। এটির প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম গোলাম কিবরিয়া সবকিছুর খরচ বহন করেন। অতীতেও এ ফাউন্ডেশন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগ মুহূর্তে মানুষের জন্য কাজ করেছে। এটি এখন কেবল বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানবিক কাজ করছে।’
খাবার বিতরণের সময় ফাউন্ডেশনের সদস্য আয়েশা ফেরদৌস, কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন রাসেল, ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার বিল্লাহ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ