বাউলশিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে আরেক মামলা, তদন্তের নির্দেশ
Published: 1st, December 2025 GMT
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়াসহ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আলোচিত বাউলশিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে মামলা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালতে মামলা করেন ডা. মো. মাহফুজুর রহমান। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের নিউরোট্রমা সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সোলাইমান তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আবুল সরকার মানিকগঞ্জের একটি মেলার মঞ্চে পরিবেশিত গানে আল্লাহকে নিয়ে অশ্রদ্ধা ও কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা বাদীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
মামলায় দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ২৯৫ এবং ২৯৫ (ক) ধারায় আবুল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর রাতে মাদারীপুরে একটি গানের আসর থেকে আবুল সরকারকে আটক করে মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি দল। পরের দিন ঘিওর বন্দর মসজিদের ইমাম মুফতি মো.
২৩ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন তাঁর ভক্ত-অনুরাগীরা। একই সময়ে ‘মানিকগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতা’ ব্যানারে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পরে আবুল সরকারের ভক্ত-অনুরাগীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন ভক্ত-অনুরাগীসহ মোট চারজন আহত হয়েছেন।
এরই মধ্যে বাউল আবুল সরকারের মুক্তির দাবি এবং তাঁর ভক্তদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিবৃতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুনমানিকগঞ্জে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বাউলশিল্পী আবুল সরকার কারাগারে২১ নভেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ ব উলশ ল প
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে টিউলিপের কারাদণ্ডের রায়ে যুক্তরাজ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে
ঢাকার একটি আদালত আজ পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের একটি মামলার রায়ে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে দুই বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এই রায়ের ফলে টিউলিপের এমপি পদ থাকবে কি না বা তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জন ট্রাসলার প্রথম আলোকে বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের একটি আদালতের দেওয়া দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করার প্রয়োজন নেই। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই বা এমন কোনো আইনি বন্দোবস্ত নেই, যেটা এই কারাদণ্ড কার্যকর করবে। তা ছাড়া যুক্তরাজ্যের আদালতগুলো সম্ভাব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, ন্যায়বিচারের মানদণ্ড এবং মানবাধিকার নিয়ে ঝুঁকির বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাজ্যের আদালতগুলো প্রত্যর্পণের যেকোনো অনুরোধ প্রায় নিশ্চিতভাবেই প্রত্যাখ্যান করবেন।
ব্রিটিশ আইনজীবী জন ট্রাসলার বলেন, এমনকি বাংলাদেশ তাঁকে (টিউলিপ) নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করলেও প্রত্যর্পণের জন্য যুক্তরাজ্য তা স্বীকার করতে বাধ্য নয়। এই দণ্ডাদেশ তাঁর যুক্তরাজ্য পার্লামেন্ট সদস্যের পদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ, যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী আইনে কেবল যুক্তরাজ্যে ১২ মাস বা তার বেশি মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত হলে এমপি পদ বাতিল বা অযোগ্যতা আরোপ হয়।
আরও পড়ুনটিউলিপের সাজা নিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে কী বলা হয়েছে৩ ঘণ্টা আগেএই রায়ের ফলে টিউলিপকে কোনো সমস্যায় পড়তে হতে পারে কি না, সে বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, তাঁর একমাত্র বাস্তব ঝুঁকি হলো বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ যদি ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিশ’ জারি করাতে পারে, তাহলে কিছু দেশে তাঁর চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে এ ধরনের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করা যায়।