সেন্টু ও পাঠানের নেতৃত্বে জাপার (একাংশ) ঢাকা উত্তরের কমিটি ঘোষণা
Published: 16th, October 2025 GMT
জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরে ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার শফিকুল ইসলাম সেন্টু আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীর আলম পাঠানকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
অশান্তির জন্য কোনো নোবেল থাকলে তা বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত: জিএম কাদের
কাজী মামুনকে ফাঁসানো হয়েছে: যুব সংহতি
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের সুপারিশক্রমে পার্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বৃহস্পতিবার নতুন এই কমিটি অনুমোদন করেন।
আহ্বায়ক কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন আমানত হোসেন আমানত, আব্দুল আজিজ খান, হাজী নাসির উদ্দিন সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, চৌধুরী গোলাম মোঃ মিলু, আনোয়ার হোসেনের তোতা, সৈয়দ মোঃ সিরাজুল আরেফিন মাসুম, এম এ সাত্তার, এস এম আমিনুল হক সেলিম, এস এম হাসেম, বজলুর রহমান মৃধা, মোঃ আসাদ খান, এ কে এম আবু জাফর কমাল, হাজী মাসুম পারভেজ, মকবুল আহমেদ মুকুল, মোহাম্মদ আলী।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরো আছেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বেপারী, মোঃ ফারুক আহম্মেদ, মোঃ রিয়াজ খান, মোঃ জলিলুর রহমান, মোঃ সোহেল রানা, মোহাম্মদ আলী খান, শরিফুল ইসলাম শরিফ, মোঃ জাকির হোসেন নয়ন, জাকির হোসেন জিকু, মোঃ নূরুল ইসলাম মিন্টু, মোঃ গোলাম দস্তগীর, মোঃ আয়াত আলী, মোঃ দুদু মিয়া, মোঃ সাঈদ মন্ডল, মোঃ সুলতান আহমেদ শামীম, শাহ আলম খান, বেলাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, রমজান আলী, আমির আলী।
শাহিদ আলম, মফিজুর রহমান কাজল, এস এম মর্তুজা আলম বকুল, আবুল কাশেম, ওবায়দুর রহমান লিটন, সৈয়দ শাহদাৎ হোসেন টুনু, দেলোয়ার হোসেন ধলু, ভূইয়া মোঃ আব্দুর রব রাজু, সোহেল রহমান, হামিদ হুসাইন জমাদ্দার, চিশতি খায়রুল আবরার শিশিরও এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন ল ইসল ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
তিস্তা মহাপরিকল্পনার ‘আঁধার কাটাতে’ ৫ জেলায় আলোর মশাল
তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত শুরু করার দাবিতে আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তরাঞ্চল। 'জাগো বাহে তিস্তা বাঁচই’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা- এই পাঁচ জেলায় একযোগে ১১টি স্থানে মশাল প্রজ্জালন করা হয়েছে, সেই আলোর আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একই সময়ে ১১টি স্থানে হাজার হাজার মশাল জ্বালিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে সব অন্ধকার দূর করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে, ‘জাগো বাহে, কুন্ঠে সবাই’; ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’।
আরো পড়ুন:
জোটের বিষয়ে কোনো দলের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক হয়নি: আখতার
দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: র্যাব মহাপরিচালক
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলোর মশাল প্রজ্জ্বালন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তার সঙ্গে সঙ্গে মুহূর্তে লাখো হাত ঊর্ধ্বে তুলে ধরে মশাল।
প্রবাহিত ১৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তিস্তা নদী রক্ষায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার ভবিষ্যৎ ঠিক করা না হলে বৃহত্তর রাজনৈতিক আন্দোলন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আসাদুল হাবিব দুলু।
নভেম্বরের মধ্যে কাজ শুরুর আল্টিমেটাম, ‘অন্যথায় রংপুর অচল’
আসাদুল হাবিব দুলু নভেম্বরের মধ্যেই মহাপরিকল্পনার কাজ বাস্তবায়ন শুরু করার অনুরোধ করেছেন সরকারকে।
তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস আগেই তিস্তা মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেওয়া হোক। যদি সময়মতো কাজ শুরু না হয়, তাহলে রংপুরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে রংপুর বিভাগ অচল ও স্তব্ধ করে দেওয়া হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তিস্তা শুধু উত্তরাঞ্চলের নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতে হবে। জনগণ এখন তিস্তার ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমেছে।”
তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং সরকারের ধীরগতির কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে রয়েছে বলে মন্তব্য করে আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিপক্ষে যারা দাঁড়াবে, তারা জাতীয় শত্রুতে পরিণত হবেন।”
‘তিস্তা জাতীয় সমস্যা, জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন’
দুলু বলেন, “তিস্তা সমস্যা কোনো স্থানীয় ইস্যু নয়, এটি একটি জাতীয় সমস্যা। দীর্ঘ ষোল বছর এক ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন রংপুরের মানুষের বুকের ভিতরে জগদ্দল পাথরের মতো বসিয়ে দিয়েছে, তবু আমাদের কান্না থামেনি।”
গত কয়েক মাসে তিস্তার ভাঙন ও চর উত্থানের ফলে লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কৃষিজমি বিলীন হওয়া, বাড়িঘর ভেঙে পড়া ও পরিবেশগত ক্ষতির বিরুদ্ধে স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। স্থানীয়রা বলছেন, “দীর্ঘদিনের অবহেলায় তিস্তার বুকে জেগে উঠছে অসংখ্য চর, ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি। ফলে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লাখো মানুষ।”
দুলুর দাবি, “নদী রক্ষায় জনগণের এই ঐক্যবদ্ধ অবস্থান প্রমাণ করে যে, তিস্তা ইস্যুটি এখন আর কেবল পরিবেশগত বা অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন।” তিনি সতর্ক করে দেন, এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ নেমে আসার আগেই সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
“তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের মানুষ খাদ্যের জন্য রাজধানী অভিমুখে লং মার্চ করতে বাধ্য হবে,” কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন দুলু।
এর আগে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে লালমনিরহাটে গণমিছিল, গণসমাবেশ, পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। মশাল প্রজ্জ্বালন কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র ও যুব সমাজের নেতাকর্মীরা। তাদের স্লোগান ছিল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’, ‘তিস্তার ন্যায্য হিস্যা চাই’।
ঢাকা/রাসেল