অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, রবিবার লংমার্চ
Published: 17th, October 2025 GMT
বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজধানীর শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অনশনে অংশ নেন।
সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় জড়ো হন এবং সেখানে সমাবেশ করেন। বৃষ্টির মধ্যেই জুমার নামাজের পর শিক্ষকরা শহীদ মিনারের মূল বেদিতে অবস্থান নেন এবং অনশন শুরু করেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন দাবি:
১.
২. বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও ১ হাজার ৫০০ চিকিৎসা ভাতা দেওয়া।
৩. নিয়মিত টাইম স্কেল ও প্রমোশন।
শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, আজ আমাদের পরিকল্পনা ছিল অনশন শুরু করার, আমরা তা শুরু করেছি। সরকার আমাদের সাথে প্রহসন করছে। তিনটি দাবি তুলে ধরলেও সরকার তার একটির চার ভাগের এক ভাগ মানতে চায়, বাকি দুটি নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। শিক্ষকরা সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
শিক্ষকনেতারা জানিয়েছেন, রবিবার (১৯ অক্টোবর) তারা যমুনা অভিমুখে লংমার্চ করবেন। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবেই এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি না মানলে আগামীকাল থেকে আমরণ অনশন করবেন আন্দোলনরত শিক্ষক–কর্মচারীরা
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা তাঁদের ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তবে তাঁরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দাবি আদায় না হলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন আজিজী এ কথা বলেন। তিনি জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুরোধে তাঁরা ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।
দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের ২৪ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি আগামীকাল বেলা দুইটা থেকে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করব। এরপরও যদি সরকারের বোধোদয় না হয়, আমরণ অনশন করতে করতে আমরা শিক্ষকেরা এখানেই মৃত্যুবরণ করব।’
মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক–কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধিদল আজ দুপুরের পর সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এরপর উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) দিতে রাজি সরকার। তবে শিক্ষক–কর্মচারীরা বলছেন, এটি তাঁরা মানবেন না।
বিএনপিপন্থী দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগদেলোয়ার হোসেন আজিজী অভিযোগ করেন, শিক্ষা উপদেষ্টা বিএনপির এই দুই নেতাকে (শিক্ষক–কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক–কর্মচারী প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন) সঙ্গে নিয়ে শিক্ষক–কর্মচারীদের আন্দোলন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যতই ষড়যন্ত্র করুন, আমরা তাতে পা দেব না। ন্যায্য দাবি আদায় করেই আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাব।’
এই দুই শিক্ষকনেতাকে বিএনপির সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান দেলোয়ার হোসেন আজিজী।
শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (শিক্ষা ও গবেষণা) ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। তিনি বলেন, সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ সরকারের সঙ্গে শিক্ষকদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। তাই রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল রাখতে হলে অবিলম্বে শিক্ষকদের দাবি পূরণ করতে হবে। শিক্ষকদের দাবি আদায়ে এনসিপি পাশে থাকবে।