দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া পাঁচ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এই চিঠি দেয়।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ (সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাঁরা পাঁচ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব আগেই প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখনো তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আজ রোববার অষ্টম দিনের মতো শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মসূচি চলছে। এখন তাঁরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

এর মধ্যে আজ অর্থ বিভাগ বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের পাঁচ শতাংশ (সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা) করার সিদ্ধান্ত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিল। ১ নভেম্বর থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। এতে মোট ছয়টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে এই বাড়িভাড়া পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে। এ ছাড়া এই ভাতা বৃদ্ধিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো বকেয়া পাবেন না।

কয়েক দিন আগে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আবরারের সঙ্গে দেখা করেছিল।

তখন শিক্ষা উপদেষ্টা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া পাঁচ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) দিতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সেদিন শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেছিলেন, তাঁরা এটি মানবেন না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকা পড়ল বানর

বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনে হরিণ ধরার জন্য পাতা শিকারিদের ফাঁদে আটকে পড়া একটি বানর উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। চিকিৎসা শেষে প্রাণীটিকে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশনের ঘাগড়ামারী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

সমুদ্র থেকে ভেসে আসা প্লাস্টিকে দূষিত সুন্দরবন

সুন্দরবনে দস্যুদের আস্তানা থেকে ৪ জেলে উদ্ধার

বন বিভাগ জানায়, বনকর্মীরা প্যারালাল লাইন সার্চিং পদ্ধতিতে ফুট প্যাট্রোল পরিচালনা করে বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। ঢাংমারী স্টেশনের ঘাগড়ামারীতে শিকারিদের পাতা ফাঁদে আটকা পড়া একটি বানর দেখতে পান বন কর্মীরা। তারা আহত বানরটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে আবার বনে ছেড়ে দেন। পরে ওই এলাকায় পাতা হরিণ ধরার আরো ১০টি সিটকা ফাঁদ অপসারণ করা হয়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “শিকারিদের পাতা ফাঁদে শুরু হরিণই না অন্য প্রাণীও মারা যায়। গত পাঁচ মাসে আমাদের সহকর্মীরা বন থেকে প্রচুর পরিমাণ ফাঁদ অপসারণ করেছেন। ফাঁদ অপসারণ করতে না পারলে শত শত হরিণ ও অন্যান্য প্রাণী শিকার হতো। এটাই বাস্তব সত্য।”

তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমরা প্রাণ বাঁচানোর কাজ করছি। তাই অনুরোধ করব, এইসব প্রাণি হত্যাকারীদের সহায়তা করবেন না, তাদের কাছ থেকে মাংস কিনবেন না। তাদের আমাদের কাছে সোপর্দ করুন। আপনার সামান্য সহযোগিতাতেই আমাদের প্রাণের সুন্দরবন বাঁচবে, ইনশাল্লাহ।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ