রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পদ্মা নদীর প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ৫২ হাজার টাকায় কিনে নিলেন সিলেটের বাসিন্দা এক লন্ডনপ্রবাসী। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার এক মৎস্য ব্যবসায়ী মাছটি প্রায় ৫০ হাজার টাকায় কিনে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

আজ রোববার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী কুশাহাটা এলাকায় মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে মঙ্গল হালদারের জালে কাতলা মাছটি ধরা পড়ে। এরপর দৌলতদিয়া ঘাটে তোলা হলে নিলামে প্রায় ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ীরা জানান, সকালে জাল ও নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে জন্য বের হন মঙ্গল হালদার। সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী কুশাটা এলাকায় জাল ফেলেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর জালে বড় ঝাঁকি দিলে বুঝতে পারেন, বড় কোনো মাছ আটকা পড়েছে। পরে জালটি টেনে নৌকায় তুলতেই দেখতে পান, বড় এক কাতলা মাছ। বিক্রির জন্য মাছটি নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। মাছটি স্থানীয় আড়তদার রেজাউল মণ্ডলের আড়তে তোলা হয়। ওজন দিয়ে দেখা যায়, কাতলা মাছটির ওজন ১৯ কেজি ৮০০ গ্রাম। পড়ে নিলামে সর্বোচ্চ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কিনে নেন।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, ‘সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকায় কাতলা মাছটি কিনে নিই। কিছুক্ষণ পর অনলাইন ফেসবুক পেজে ও বিভিন্ন পরিচিতি ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকি। এ সময় সিলেটের বাসিন্দা এক লন্ডনপ্রবাসী দেখতে পান। পরে ওই প্রবাসী কেজিপ্রতি ১০০ টাকা লাভ দিয়ে ৫২ হাজার টাকায় কাতলা মাছটা কেনেন। দুপুরে তাঁর দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী মাছটি সিলেটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫২ হ জ র ট ক দ লতদ য এল ক র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় চার্চে হাতবোমা হামলার নিন্দায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

ঢাকায় খ্রিষ্টান উপাসনালয় লক্ষ্য করে হাতবোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এ ঘটনাকে লঘু চোখে না দেখে দায়ীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

রাজধানীর রমনায় সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রালে হাতবোমা বিস্ফোরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আজ রোববার রাতে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়। তাতে গত ৮ অক্টোবর তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে সরকার, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঘটনাগুলোর সঠিক তদন্ত করে জড়িত দুস্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতেও সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ জাতীয় কর্মকাণ্ডকে লঘু করে দেখা হলে তা হবে দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।’

গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর রমনা থানার কাকরাইলে সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রালের প্রধান ফটক লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, দুটি ককটেলের একটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। তবে তাতে কেউ হতাহত হয়নি।
একই রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেন্ট যোসেফ স্কুল লক্ষ্য করেও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।

এসব ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ দুই দিনেও চিহ্নিত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রমনায় গির্জা লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ

সম্পর্কিত নিবন্ধ