ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘মানবাধিকার ও যুবকদের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইইআর ভবনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন ও সোচ্চার টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক ইবি চ্যাপ্টার।

আরো পড়ুন:

ইবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

ইবিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের তথ্য-অনুসন্ধান নিয়ে সেমিনার

সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক ইবি চ্যাপ্টারের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রাহাতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রশিক্ষকের মধ্যে জাতিসংঘের গভর্নেন্স বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তা জাহিদ হোসাইন ‘মানবাধিকারের মৌলিক বিষয় ও জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রক্রিয়া’, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও সোচ্চার ট্রমা ম্যানেজমেন্ট ও সাপোর্ট বিভাগের সহকারী পরিচালক সুমাইয়া তাসনিম ‘ট্রমাটাইজড অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সহায়তা’ ও সোচ্চার টর্চার ওয়াচডগের প্রজেক্ট ম্যানেজার ও জাককানইবির প্রভাষক সুমাইয়া তামান্না ‘ক্যাম্পাসে মানবাধিকার ডকুমেন্টেশন ও এক্টিভিজম চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় সংগঠনটির উপদেষ্টা ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড.

ফকরুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শিবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, “আমরা জেলায় জেলায় রাজনৈতিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়েছি। অথচ আমাদের প্রয়োজন ছিল গুণগত পরিবর্তন। আমরা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড ধরে নিয়েছি এ প্লাস। অথচ আমাদের সমাজে নারীদের মূল্যায়ন নেই, মানুষের নিরাপত্তা নেই। এটাই কি উন্নয়ন? আমরা অধিকার নিয়ে কথা বলি, কিন্তু আমাদের কর্তব্য আমরা জানি না। এসব আমাদের ভাবতে হবে।”

তিনি বলেন, “নলেজ ইজ পাওয়ার বলতে একাডেমিক শিক্ষার কথা বলা হয়নি। এখানে সৎ জ্ঞান ও সৎ গুণ অর্জনের কথা বলা হয়েছে। এজন্য দরকার ধর্মীয় শিক্ষার। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা বলতে আমাদের বোঝানো হতো জামায়াত-শিবির। অথচ প্রতিটি ধর্মেই নৈতিকতা ও ভার্চুয়াল নলেজ দেওয়া হয়েছে। আমরা যেহেতু সোচ্চারের সঙ্গে কাজ করছি, সোচ্চার যেহেতু আমাদের অধিকারের কথা বলে, এর সঙ্গে আমাদের কর্তব্যের বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তবেই আমরা একটি সুন্দর ক্যাম্পাস ও সুন্দর দেশ পাব।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম নব ধ ক র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন আঘাত হানতেই নিহত ২

ফিলিপাইনে সুপার টাইফুন ফুং-ওং আঘাত হানার পরপর দেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। উত্তর লুজনে ভূমিধ্বসের আগে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তীব্র বাতাসের কারণে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

রবিবার রাতে অরোরা প্রদেশে সুপার টাইফুন ফুং-ওং আঘাত হানার আগে দশ লাখেরও বেশি মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে গেছে। কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৮৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস এবং ২৩০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া লুজনের অনেক অংশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফুং-ওংয়ের প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ লুজনের আরো কিছু এলাকা সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝড় সতর্কতা স্তরের অধীনে রাখা হয়েছে। মেট্রো ম্যানিলা এবং কাছাকাছি প্রদেশগুলি এখনো। ৩ স্তরে রয়েছে।

নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে, বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক মেট্রো ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং স্যাংলিসহ বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা অফিস জানিয়েছে, ক্যাটানডুয়ানেসে একজন ডুবে মারা গেছেন এবং ক্যাটবালোগান সিটিতে ধসে পড়া একটি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন দমকলকর্মীরা।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ