হবিগঞ্জে ধান কাটার মেশিনের (কম্বাইন হারভেস্টার) চোরাই যন্ত্রাংশসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (৪১) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শেরপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৮)। 

তাদের কাছ থেকে কম্বাইন হারভেস্টারের প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের হাইড্রোলিক ডিস্ট্রিবিউটর ও আনলোডিং ইলেকট্রিক মোটর উদ্ধার করা হয়। 

রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর এ দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলা শহরের ইনাতাবাদ জঙ্গলবহুলা এলাকার আলাই মিয়ার মুদি দোকানের সামনে থেকে যন্ত্রপাতিগুলো চুরি হয়। ঘটনার তিনদিন পর আতিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। 

জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি কান্দি ধরসহ একদল সদস্য শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। সেখান থেকে তাজুল ও সিরাজুলকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামে খড়ের গাদার নিচ থেকে যন্ত্রপাতিগুলো উদ্ধার করা হয়।

ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর রবিবার দুপুরে তাজুল ও সিরাজুলকে আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/এস

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার ক্ষতির আশ

পাকিস্তান ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার লোকসান হতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি চিঠির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “ধরে নিচ্ছি যে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে যা আগামী বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাতে যে বাড়তি খরচ হবে তার মধ্যে রয়েছে বিকল্প রুটে বিমানগুলোর দীর্ঘ উড্ডয়নের জন্য বর্ধিত জ্বালানি খরচ।

বিমান সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে জানিয়েছে, ফ্লাইটের সময় যত বেশি হবে, যাত্রীদেরও তার উপর প্রভাব পড়বে। ফ্লাইট দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞার সময়কালে প্রতি বছর ৫৯ কোটি ১০ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। নয়াদিল্লি পরের দিনই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়াসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।

বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষতি পোষাতে এয়ার ইন্ডিয়া সরকারের কাছে আনুপাতিক ভর্তুকির জন্য অনুরোধ করেছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রভাবিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ভর্তুকি একটি ভালো, যাচাইযোগ্য এবং ন্যায্য বিকল্প... পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা যেতে পারে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ