Risingbd:
2025-05-01@12:12:39 GMT

রুপালি দুনিয়ায় অক্ষয়ের ভাগ্নি

Published: 24th, January 2025 GMT

রুপালি দুনিয়ায় অক্ষয়ের ভাগ্নি

বলিউডের ‘খিলাড়ি’খ্যাত তারকা অক্ষয় কুমার। বাবার পথ অনুসরণ করার আগ্রহ নেই তার দুই পুত্র-কন্যার। কিন্তু মামার মতো অভিনয়ে পা রাখতে যাচ্ছেন অক্ষয়ের ভাগ্নি সিমর ভাটিয়া।

পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন নির্মাণ করছেন ‘ইক্কিস’ শিরোনামে সিনেমা। হিন্দি ভাষার এ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে যাচ্ছে সিমর ভাটিয়ার। এতে তার বিপরীতে দেখা যাবে অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দাকে। এতে জয়দীপ, ধর্মেন্দ্রর মতো তারকারাও অভিনয় করবেন।

 

আরো পড়ুন:

আমি মায়ের লেভেলে পৌঁছানোর চেষ্টাও করব না: খুশি কাপুর

গায়িকা মোনালি ঠাকুর সত্যি হাসপাতালে?

সিমর ভাটিয়ার বলিউড যাত্রা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। খবরের পাতায় ভাগ্নির ছবি দেখে আপ্লুত অক্ষয় কুমার। তা নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্মৃতিচারণ করে অক্ষয় কুমার লেখেন, “খবরের কাগজের প্রচ্ছদে প্রথম যে দিন নিজের ছবি দেখেছিলাম, সেই স্মৃতি মনে পড়ছে। সেদিন মনে হয়েছিল— ‘জীবনে সবকিছু পেয়ে গিয়েছি।’ কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সন্তানের ছবি দে‌খার আনন্দের কাছে তা কিছুই না।”

 

অক্ষয়ের বোন অল্কা ভাটিয়া পেশায় একজন প্রযোজক। ১৯৯৭ সালে বৈভব কাপুরকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর কন্যাসন্তান সিমরের জন্ম হয়। কিন্তু অল্কা-বৈভবের সংসার বেশি দিন টিকেনি। আলাদা হয়ে যান এই যুগল।

 

মুম্বাইয়ের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন সিমর ভাটিয়া। সেই স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। ফ্লোরিডা, লস অ্যাঞ্জেলেসের কলেজে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার পাঠ সম্পন্ন করে মুম্বাইয়ে ফিরেন সিমর।

 

ছোটবেলায়ই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন সিমর ভাটিয়া। মা প্রযোজক, মামা অভিনেতা। পরে মামার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিডিয়ার আলো থেকে এতদিন দূরেই ছিলেন সিমর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকলেও নেটিজেনদের নজরে পড়েননি।

 

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেবেড়াতে ভালোবাসেন সিমর। সেসব মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন। তবে অক্ষয়ের ভাগ্নি বলিপাড়ায় পা রাখতে যাচ্ছেন, এই আলোচনা শুরু হতেই সিমরকে নিয়ে কৌতূহল বাড়ে নেটিজেনদের। দ্রুত বাড়তে থাকে তার অনুসারীর সংখ্যা। এরই মধ্যে তার ইনস্টাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ