Risingbd:
2025-08-02@12:07:26 GMT

রুপালি দুনিয়ায় অক্ষয়ের ভাগ্নি

Published: 24th, January 2025 GMT

রুপালি দুনিয়ায় অক্ষয়ের ভাগ্নি

বলিউডের ‘খিলাড়ি’খ্যাত তারকা অক্ষয় কুমার। বাবার পথ অনুসরণ করার আগ্রহ নেই তার দুই পুত্র-কন্যার। কিন্তু মামার মতো অভিনয়ে পা রাখতে যাচ্ছেন অক্ষয়ের ভাগ্নি সিমর ভাটিয়া।

পরিচালক শ্রীরাম রাঘবন নির্মাণ করছেন ‘ইক্কিস’ শিরোনামে সিনেমা। হিন্দি ভাষার এ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে যাচ্ছে সিমর ভাটিয়ার। এতে তার বিপরীতে দেখা যাবে অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দাকে। এতে জয়দীপ, ধর্মেন্দ্রর মতো তারকারাও অভিনয় করবেন।

 

আরো পড়ুন:

আমি মায়ের লেভেলে পৌঁছানোর চেষ্টাও করব না: খুশি কাপুর

গায়িকা মোনালি ঠাকুর সত্যি হাসপাতালে?

সিমর ভাটিয়ার বলিউড যাত্রা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। খবরের পাতায় ভাগ্নির ছবি দেখে আপ্লুত অক্ষয় কুমার। তা নিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্মৃতিচারণ করে অক্ষয় কুমার লেখেন, “খবরের কাগজের প্রচ্ছদে প্রথম যে দিন নিজের ছবি দেখেছিলাম, সেই স্মৃতি মনে পড়ছে। সেদিন মনে হয়েছিল— ‘জীবনে সবকিছু পেয়ে গিয়েছি।’ কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সন্তানের ছবি দে‌খার আনন্দের কাছে তা কিছুই না।”

 

অক্ষয়ের বোন অল্কা ভাটিয়া পেশায় একজন প্রযোজক। ১৯৯৭ সালে বৈভব কাপুরকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর কন্যাসন্তান সিমরের জন্ম হয়। কিন্তু অল্কা-বৈভবের সংসার বেশি দিন টিকেনি। আলাদা হয়ে যান এই যুগল।

 

মুম্বাইয়ের স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন সিমর ভাটিয়া। সেই স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। ফ্লোরিডা, লস অ্যাঞ্জেলেসের কলেজে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার পাঠ সম্পন্ন করে মুম্বাইয়ে ফিরেন সিমর।

 

ছোটবেলায়ই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন সিমর ভাটিয়া। মা প্রযোজক, মামা অভিনেতা। পরে মামার পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিডিয়ার আলো থেকে এতদিন দূরেই ছিলেন সিমর। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকলেও নেটিজেনদের নজরে পড়েননি।

 

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরেবেড়াতে ভালোবাসেন সিমর। সেসব মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন। তবে অক্ষয়ের ভাগ্নি বলিপাড়ায় পা রাখতে যাচ্ছেন, এই আলোচনা শুরু হতেই সিমরকে নিয়ে কৌতূহল বাড়ে নেটিজেনদের। দ্রুত বাড়তে থাকে তার অনুসারীর সংখ্যা। এরই মধ্যে তার ইনস্টাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে শুল্ক আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।

তিনি বলেন,“বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট বলেছে, বেশকিছু দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বা নিরাপত্তা চুক্তি আলোচনা এখনো চলমান রয়েছে, যেগুলো সম্পাদিত হলে এসব দেশের শুল্ক আরো কমতে পারে। তাই বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হ্রাস আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।”

শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ সভাকক্ষে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বারে গুলিতে নিহত ৪, সন্দেহভাজন পলাতক

৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রুণ থেকে জন্ম নিলো জীবিত শিশু

তিনি বলেন, “প্রথমেই আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, তারা একটি ভারসাম্যপূর্ণ শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করেছে। যেটি বিগত প্রায় ৪ মাস যাবৎ আমাদের আমাদের উদ্বেগের কারণ ছিল। বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ পুননির্ধারণ করা হয়েছে। যা আমাদের প্রধান পোশাক রপ্তানিকারী প্রতিযোগীদের তুলনায় সমান বা কাছাকাছি এবং কিছু প্রধান প্রতিযোগী যেমন চীন (৩০ শতাংশ) ও ভারতের (২৫ শতাংশ) তুলনায় কম।”

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে বলতে চাই আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিশেষ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও তাদের টিম এই কঠিন আলোচনার সময় যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। তাদের প্রচেষ্টাতেই বাংলাদেশ একটি বিপর্যয় এড়াতে পেরেছে।”

মাহমুদ হাসান খান বলেন, “এই ফলাফল একদিনে আসেনি, যাত্রাটি ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের।২ এপ্রিল যখন যুক্তরাষ্ট্র ‘লিবারেশন ডে ট্যারিফ’ নামে নতুন শুল্ক ঘোষণা করল, তখন বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ ধার্য করা হয়। তখন ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৩২ শতাংশ ও পাকিস্তানের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলো। এটা আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়। কারণ এত বড় শুল্ক ব্যবধানে বাজার ধরে রাখা সম্ভব নয়। আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ২০ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, আর দেশটিতে আমাদের মোট রপ্তানির ৮৭ শতাংশ হয় তৈরি পোশাক পণ্য।”

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “গোপনীয়তা রক্ষা চুক্তির কারণে বেসরকারি খাত এই আলোচনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল না। তাই রপ্তানিকারক ও ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছিল, ‘কী হতে যাচ্ছে?’ আমরা সত্যিই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। যখন দেখলাম ২ জুলাই ভিয়েতনামের ওপর শুল্ক ৪৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হলো। আর প্রায় তিন মাস নেগোশিয়েশনের পর ৭ জুলাই আমাদের ওপর শুল্ক মাত্র ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হলো, তবে পুনরায় আলোচনার জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় পাওয়া যায়। এরই মধ্যে পরবর্তী ২ সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনও ১৯ শতাংশ হারে সমঝোতায় পৌঁছায়।”

তিনি বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আলোচনায় সম্পৃক্ত হতে। সব রকম তথ্য-বিশ্লেষণ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে। আমরা চেষ্টা করেছি যেন বিষয়টিকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া আমরা বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবার সাথে যোগাযোগ করেছি। এমনকি আমরা ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি।”

মাহমুদ হাসান খান বলেন, “বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক অবধারিতভাবে আমাদের পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়াবে। যেখানে শিল্পগুলো আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে প্রাণান্তকরভাবে যুদ্ধ করছে। এক্ষেত্রে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো যাতে করে ব্যবসা থেকে ছিটকে না পড়ে, তা সরকারকে নজরদারিতে রাখতে হবে। আমরা একান্তভাবে আশা করি, শিল্প ও দেশের স্বার্থে সরকারের সকল নীতি সহায়তা চলমান থাকবে।” 
“এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে কাস্টমস সংক্রান্ত নীতিগুলো শিল্পবান্ধব হবে, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং শিল্প নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পাবে।”

তিনি বলেন, “মার্কিন রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশ হচ্ছে আমাদের তুলাভিত্তিক পোশাক। শুল্ক সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা আছে, যদি নূন্যতম ২০ শতাংশ আমেরিকার কাঁচামাল (যেমন আমেরিকার তুলা) ব্যবহার করা হয়, তাহলে আমেরিকার কাঁচামালের মূল্যের ওপর এই অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ আমেরিকার কাঁচামাল ব্যবহার করলে আমরা বাড়তি কিছু শুল্ক ছাড় পাব।”

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ