চাটমোহরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 2nd, August 2025 GMT
পাবনার চাটমোহর জারদিস মোড় থেকে হান্ডিয়াল পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটির নয়টি পয়েন্টে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘চেতনায় হান্ডিয়াল’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মানববন্ধনে এলাকাবাসী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চাটমোহরে জারদিস মোড় থেকে হান্ডিয়াল বাঘলবাড়ী পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। কয়েক বছর ধরে সড়কে খানাখন্দে বৃষ্টির পানিতে তিনটি ইউনিয়নের লাখো মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে ঢাকার সঙ্গে সবচেয়ে কম দূরত্বে অসংখ্য যানবাহন ও মানুষ চলাচল করে। প্রায়ই দুর্ঘটনায় মানুষ হতাহত হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মঙ্গলবার থেকে সড়ক অবরোধের ডাক
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি-জোয়ারে সড়ক বিচ্ছিন্ন, মানুষের দুর্ভোগ
আগামী এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি রাস্তাটি সংস্কার কাজ শুরু করার দাবি জানান এলাকাবাসী। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা। বছর খানেক আগে এই সড়কে সংস্কার কাজ শুরু হলেও গণঅভ্যুত্থানের পর তারা পালিয়ে গেছে।
চেতনায় হান্ডিয়ালের আহ্বায়ক কে এম বেলাল হোসেন স্বপনের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন, পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা হাসানুল ইসলাম রাজা, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম কালু, মানববন্ধন আয়োজক উপ-কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ বিষয়ে পাবনার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এম আজিজ জানান, যে ঠিকাদারের গাফিলতিতে এই জনদুর্ভোগ, তিনি যাতে উপযুক্ত শাস্তি পান, সেই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে সড়কটির সংস্কার দ্রুত শুরু করা হবে। সড়কটির প্রাথমিক মেরামত কাজ চলমান রয়েছে বল জানান তিনি।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে নিহতের পিতা শুক্কর আলী ও স্ত্রী ইভা আক্তার এ অভিযোগ করেন। এসময় মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।
নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, আমাকে যারা অল্প বয়সে বিধবা ও ৩ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে জুনায়েদকে এতিম করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আসামিরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে এখন আবার হুমকিও দিচ্ছে।
মামলার বাদী নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামি গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী মহাসিন ভূঁইয়াসহ ৪ জন এখনো গ্রেফতার হয়নি।
তারা পলাতক থেকে তাদের লোকজনের মাধ্যমে মিমাংসা করে মামলা তুলে দেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ও ছেলের বউ ইভা তার সন্ধান করতে নূরুল আনোয়ারের নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী আলমগীর আমাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।
অথচ সে জানতো আমার ছেলেকে ওই ভবনের একটি কক্ষে হত্যা করেছে। লাশ ভনের লিফটের হাউজের নর্দমা পানিতে রয়েছে। আমি এ পাষাণদের ফাঁসি চাই। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই জুয়েল, ফাহিম ও বোন সুমাইয়া।
মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন, ফজলুল হক মাদবর, লিটন, মাসুদ, জসিম, আব্দুল মজিদ, সুমন, শাহিন, আসলাম ও বাধনসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত মাসের ১৮ জুলাই দুপুরে নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা নর্দমা পানি থেকে জনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৯ তারিখে নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার নামীয় আসামি আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। গ্রেফতাররা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।