ফুটবলের দেশ হিসেবেই ইতালি বিশ্বে বেশি পরিচিত। চারটি বিশ্বকাপ তারা জিতেছে। যদিও তাদের ফুটবলে এখন ভাটার টান! সেই জায়গাটাই দখল করতে যাচ্ছে ইতালির জাতীয় ক্রিকেট দল। দেশটির এখন বড় পরিচয়,তারা প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাই থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে ইতালি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ হারলেও নেট রান রেট ভালো থাকায় ইতালি চলে গেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্তম ফরম্যাটের বিশ্বকাপে।
যা নিশ্চিতভাবেই তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য। ইতালির সঙ্গে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে নেদারল্যান্ডসও।
আগের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল ইতালি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বড় হার এড়াতে পারলেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত। তাদের প্রত্যাশা মতোই সব কাজ হয়েছে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইতালি ৭ উইকেটে ১৩৪ রান করে। জবাবে নেদারল্যান্ডস ১৬.
চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নেদারল্যান্ডস। তারা শীর্ষে থেকেই নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপ। ইতালির সমান ম্যাচে পয়েন্ট ৫। সমান ম্যাচে জার্সিরও পয়েন্ট ৫। পিঠাপিঠি অবস্থান তাদের। তবে জার্সির (০.৩০৬) চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় ইতালির (০.৬১২) বিশ্বকাপের ভাগ্য খুলেছে।
আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসবে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৫ দল এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। ইষ্ট-এশিয়া প্যাসিফিক কোয়ালিফায়ার থেকে তিনটি এবং আফ্রিকা অঞ্চল থেকে দুটি দল সামনে নির্বাচিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প র
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমানী উদ্যানে আবার স্থাপনার পেছনে লক্ষ্য ‘টাকা কামানো’: বাপা
রাজধানীর ঐতিহাসিক ওসমানী উদ্যান উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নেতারা। তাঁদের ভাষায়, পুরান ঢাকার ফুসফুসখ্যাত এই উদ্যানকে ঘিরে চলছে ‘অর্থ কামাইয়ের উন্নয়ন’, যার সঙ্গে জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের ইতিহাস বা চেতনার কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানী উদ্যান পরিদর্শন করেন বাপার নেতারা। পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথাগুলো বলেন সংগঠনটির নেতারা।
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের নেতৃত্বে উদ্যান পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাপার সহসভাপতি মহিদুল হক খান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর, ফরিদুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির, নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান, জাতীয় কমিটির সদস্য শেখ আনছার আলী প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে গ্রীন ভয়েসের নেতা–কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সাল থেকে ওসমানী উদ্যান সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ। এই সময়ে উদ্যান উন্নয়নের নামে ব্যয় হয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। এখন সেখানে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণে আরও প্রায় ৪৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। পরিবেশবিদদের অভিযোগ, এই উদ্যানের আইনগত মর্যাদা উপেক্ষা করে বারবার অবকাঠামো নির্মাণই এখন মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘উন্নয়ন’ নামে উদ্যানের ভেতরে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করে আসলে জনগণের সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে।
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘এখানে যেটা করা হইতেছে, এটা টাকা বানানো। এর সঙ্গে জুলাই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রমাণটা হলো, এখানে যে ওয়াটার বডিজ আছে, ওখানে গেলেই দেখা যায়, ওখান থেকেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। এই স্মৃতি করে লাভটা কী? এই প্ল্যানটা আমি স্মৃতিস্তম্ভ বলি না, এটা স্রেফ মানি মেকিং প্রজেক্ট। আজকে যারা এগুলা (জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ) করছে, এগুলো কিছু মানি মেকিংয়ের জন্য করছে। এর মধ্যে আমি কোনো সঠিক প্ল্যানও দেখছি।’
ওসমানী উদ্যানকে তথাকথিত উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিপিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘যেই সরকারই আসুক, তাদের মাথায় থাকে শুধু উন্নয়নের নামে টাকা কামানোর চিন্তা। বহুদিন ধরে উদ্যানটা ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা, জনগণ ঢুকতেই পারে না। এই প্রকল্পে জনগণের টাকা লুটপাট ছাড়া অন্য কোনো কর্মকাণ্ড আমি দেখি না। ওসমানী উদ্যান জনগণের সম্পদ। এই উদ্যান উন্মুক্ত থাকা দরকার। বিশেষ করে মেহনতি, সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার ও বিশ্রামের জায়গা হিসেবে। অথচ আজ সেটাকে দখল করে তথাকথিত উন্নয়ন দেখানো হচ্ছে। আসলে এটা পরিবেশ ধ্বংসেরই আরেক নাম।’
ওসমানী উদ্যান পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে গিয়ে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ক্ষোভের কথা জানান বাপার নেতারা। এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বাপা নেতাদের বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে ওসমানী উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
আরও পড়ুনওসমানী উদ্যান: ঢাকার ‘ফুসফুসে’ আবার স্থাপনা ১১ অক্টোবর ২০২৫