যশোরের ঝিকরগাছায় প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় সাকিব হোসেন (২৭) নামের এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কৃর্তিপুর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাকিব যশোর জেলা ছাত্রদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ঝিকরগাছা পৌর শহরের মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ফাহিম বিশ্বাস (২৬) নামে আরো এক যাত্রী আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাকিব ও ফাহিম প্রাইভেটকারযোগে যশোর থেকে ঝিকরগাছার উদ্দেশে ফিরছিলেন। কৃর্তিপুর মোড় এলাকায় পৌঁছালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে সাকিবের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় ফাহিমকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

জন্মদিন পালন করা হলো না শিশু সাদিবের

ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত যুবককে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ