টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে একটি প্রসাধনপণ্যের শোরুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল চিত্রনায়িকা পরীমণির। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আপত্তির কারণে টাঙ্গাইলে যেতে পারেননি তিনি। এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।

শনিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে পরীমণি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “এত চুপ করে থাকা যায় নাকি! পরাধীন মনে হচ্ছে, শিল্পীদের এত বাধা কেন আসবে?”

পরীমণি অনিরাপধ বোধ করছেন। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “অনিরাপধ অনুভব করছি! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা। মেহজাবীন, পরশী এর আগে এমন হেনস্তার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা?”

আরো পড়ুন:

‘আমি নামেই পরী, আমার জীবন পরীদের মতো নয়’

আমার প্রেম হলে অনেকের মনটা ভেঙে যায়: পরীমণি

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে পরীমণি বলেন, “কি বলার আছে আর…। এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে! তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব‍্যবহার হয়েছিলাম তখন, নাকি এখনো হচ্ছি? কোনটা? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।”

পরীমণির এ পোস্ট নিয়ে জোর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শনিবার রাত ১০টা ৩১ মিনিটে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি রিঅ্যাক্ট পড়েছে। মন্তব্য জমা হয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার। শেয়ার হয়েছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি।

জানা যায়, পরীমণির টাঙ্গাইল যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার যুববিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কালিহাতী উপজেলার সভাপতি মুফতি সুলাইমান হাবিব তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পরে শরিফুল ইসলাম নামে একজন আয়োজকদের ফোন করে জানান, তারা পরীমণিকে এনে অনুষ্ঠান করতে দেবেন না।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুর ইলেট্রনিক টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো নগদ

পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহে (ইটিসি) যুক্ত হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’। আধুনিক এই ব্যবস্থার ফলে যানবাহনগুলোর আর লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেয়ার প্রয়োজন হবে না, বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ করা যাবে নগদের মাধ্যমে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নগদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় আরএফআইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। এর ফলে টোল প্লাজায় থামা ছাড়াই টোল পরিশোধ করা সম্ভব হবে, যা সময় বাঁচাবে এবং যানজট ও ভোগান্তি কমাবে।

রাজধানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সেতু অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন, নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহসহ দুইপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

চুক্তিতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার নুরুল হক এবং নগদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী।

অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, জনগণকে ঝামেলাহীন সেবা দিতে আমরা পদ্মা সেতুর টোল আদায় ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই এই ব্যবস্থা চালু করে সাধারণ যাত্রীদের উপকারে আনা আমাদের লক্ষ্য।

নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, আমরা প্রযুক্তিকে ডিজিটাল পেমেন্টের উপযোগী করে তুলছি। সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া হবে আরও আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

নগদের চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী বলেন, এই চুক্তি দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বাস্তবায়নে একটি মাইলফলক। তবে বিআরটিএ-এর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।

ডাক বিভাগের পরিচালিত নগদ বর্তমানে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বচ্ছতা, সহজসেবা ও গ্রাহকের আস্থার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে সেবাটি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ