জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদে অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলামকে ডিন নিয়োগের অফিস আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুল জারিসহ এ আদেশ দেন।

রুলে শহিদুল ইসলামকে আইন অনুষদের ডিন নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ।

গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৫-এর ২২(৫) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড.

মো. শহিদুল ইসলামকে দুই বছরের জন্য আইন অনুষদের ডিন হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। পরে ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নিয়োগ বাতিল হওয়া আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক খ্রিষ্টীন রিচার্ডসন। ২৬ জানুয়ারি অপর এক আদেশে তার নিয়োগ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল হালিম আর নেই

প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল হালিম ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় তিনি রাজধানীর খিলগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, জামাতাসহ অনেক আত্মীয় ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মাগরিবের পর খিলগাঁও শাহি মসজিদে জানাজা শেষে তালতলা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য আবদুল হালিম অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে সততা, দায়বদ্ধতা ও পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি ছিলেন সবার শ্রদ্ধাভাজন। তিনি ১৯৪০ সালের ১ মার্চ পটুয়াখালীর আমতলী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়েছিল তৎকালীন সাপ্তাহিক জনতা পত্রিকার মাধ্যমে। পরে তিনি দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের বার্তা সম্পাদক ছিলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া এক বিবৃতিতে আবদুল হালিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ