অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাবেক ছাত্রদল নেতা খোকনের ফুলেল শুভেচ্ছা
Published: 3rd, February 2025 GMT
বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ায় ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকাস্থ অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নিজ বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
এসময় দেলোয়ার হোসেন খোকন তার অনুডুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গোষণার মধ্য দিয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই সময় উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য।
অধ্যাপক মামূন মাহমুদ একজন পরিচ্ছন্ন এবং পরীক্ষীত রাজনীতিবিদ। আশা করি তিনি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসন জয়লাভ করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এবং সকল বিভেদ ভুলে একটি শক্তিশালী কমিটি উপহার দিতে পারে সেই প্রত্যাশা করছি।
এরআগে গত রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
তবে ঘোষিত কমিটিতে সদস্য সচিব পদ রাখা হয়নি। কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাখা হয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়াকে। যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, শরীফ আহমেদ টুটুল এবং সদস্য রাখা হয়েছে মো: গিয়াস উদ্দিনকে। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ছ ত র দল ন র য়ণগঞ জ কম ট র স ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।