বন্দরে ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে ২১নং ওয়ার্ড পর্যন্ত আবারো বিশুদ্ধ  পানি সংকট দেখা দিয়েছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে ওয়াসার পাম্প বিকল থাকার কারনে ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ লক্ষারচর উত্তরপাড়া, মধ্যপাড়া, দক্ষিনপাড়া, শান্তিনগর, ইসলামপুর, টিক্কারমোড়, নয়াপাড়া, ফরাজিকান্দা, ২০নং ওয়ার্ডের বেপারি পাড়া, মাহামুদনগর, দড়ি সোনাকান্দা, পশ্চিম হাজীপুর, ২১ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া, এনায়েতনগর, সোনাকান্দা নোয়াদ্দা, রুপালি, ছালেহনগর, শাহীমসজিদসহ এর আশে পাশের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় র্তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা ওয়াসা দপ্তরসহ ও সংশ্লিষ্টদের  সাথে  যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় ১৯ থেকে ২১ নং ওয়ার্ডে  পানির হাহাকার দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২০ নং ওয়ার্ডের  মাহামুদনগর এলাকার বাসিন্দা রিপন জানান, পানি সংকটের কারনে চরম অসুবিধা মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এ ওয়ার্ডের  গৃহিণীরা। পানি না থাকার কারনে দৈনন্দিন কাজকর্মে মারাত্মকভাবে বেঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভুক্তভোগীরা পানির জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে।

২১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহিদুল গণমাধ্যমকে জানান, ওয়াসা কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার কারনে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে পানি বঞ্চিত হয়ে পরেছি। ওয়াসা পানি না থাকার কারনে সোনাকান্দা চৌধুরীপাড়া অধিকাংশ এলাকাবাসী মেরিন টেকনোলজি থেকে পানি টেনে বাসা বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা  যাচ্ছে।

২১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোরশেদ আলম জানান, বন্দরে পানি সমস্যা দীর্ঘ দিনের। অতিতে পানি সমস্যা সমাধানের জন্য ২১ ও ২২ নং ওয়ার্ডে আন্দোলন ও মানববন্ধন হয়েছে । তার পরও কোন  সুফল পায়নি এ ওয়ার্ডবাসী। পানিবিহীন জীবন যাপন চলতে পারে না। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র ক রন

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ