নারী ফুটবল দলের সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। ১৮ জন নারী ফুটবলার ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন না করার যে ঘোষণা করেছেন, এর বিপরীতে বাটলারও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। নির্দিষ্ট কয়েকজন ফুটবলার ক্যাম্পে থাকলে এই দলের কোচিং করাবেন না তিনি, আজ বিকেলে বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাটলার।

গত রাতে বাফুফের বিশেষ কমিটির সামনে মুখোমুখি হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে কোচ বলেন, `কমিটি আমার কাছে যা জানতে চেয়েছে, আমি তার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, যারা বাফুফে ভবনে থেকে ও বাফুফের খাবার খেয়ে বাফুফেতেই দাঁড়িয়ে ভিত্তিহীন কথা বলে, আমি তাদের কোচিং করাব না।'

১৮ জন নারী ফুটবলার কোচের বিপক্ষে নানা অভিযোগ এনেছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সাফজয়ী দলের সদস্য। তাঁদের অভিযোগ বিশেষ কমিটির কাছে গুরুত্ব পাবে না, এমন আশা করে বাটলার বলেন, `আমার বিশ্বাস তারা (বিশেষ কমিটি ) সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। আমার স্পষ্ট কথা, হয় ওরা থাকবে নয়তো আমি, সমঝোতার কোন সুযোগ নেই।' এরপর যোগ করেন, `বিদ্রোহী ফুটবলাররা সহানুভূতি কার্ড খেলছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।'

বিদ্রোহীদের মধ্যে কয়েকজন ফুটবলারকে বাটলার বাদ দিতে চান বলে শোনা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, `আমি কয়েকজনের নাম দিয়েছি, সেই কয়েকজন থাকলে আমি কোচিং করাব না। নির্দিষ্ট কয়েকজন ফুটবলার অনুশীলনে যাচ্ছে না এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এটা ননসেন্স, এটা বন্ধ হওয়া দরকার।'

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু

নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ