Prothomalo:
2025-07-31@08:21:26 GMT

হাসির জাদুঘর ‘হাহা হাউস’

Published: 11th, February 2025 GMT

আধুনিক জীবনে নেতিবাচক ঘটনার ভিড়ে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। এসব মানুষের কথা চিন্তা করে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে চালু হয়েছে একটি হাসির জাদুঘর। এ জাদুঘরের নাম ‘হাহা হাউস’। এটি হলো বিশ্বের প্রথম জাদুঘর, যা সম্পূর্ণরূপে দর্শনার্থীদের হাসানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।

এ জাদুঘরের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে হাস্যরস সৃষ্টি করা। এটি তৈরিতে শিল্প এবং প্রযুক্তির সমন্বয় করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি নকশাবিদ, স্থপতি, শিল্পী এবং বিশেষজ্ঞদের একটি দল এ জাদুঘর তৈরিতে কাজ করেছেন। হাস্যরসের দিক থেকে ব্যক্তির পছন্দ যেমনই হোক না কেন, এ জাদুঘরের লক্ষ্য হলো সব বয়সের দর্শনার্থীদের হাসাতে সাহায্য করা।

হাহা হাউসে খেলাধুলা ও নানা অংশগ্রহণযোগ্য প্রদর্শনী রাখা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা অংশগ্রহণ ও উপভোগ করতে পারেন। তবে জাদুঘরে প্রবেশের আগে তাদের একটি স্ক্যানারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

এ সময় সাদা ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে গেলে তাঁদের উদ্বেগ দূর হতে শুরু করে। এরপর তাঁদের বড় আকারের একটি ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে ঢোকানো হয়। একে বলা হচ্ছে ‘সেন্ট্রিফিউজ অব লাইফ’। এখান থেকে দর্শনার্থীকে সাদা বলভর্তি একটি পুকুরে ফেলা হয়। এখান থেকেই মূলত দর্শনার্থীর বিভিন্ন আনন্দদায়ক স্থানে যাত্রা শুরু হয়।

জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেয়া গোলুবিক বলেন, করোনা মহামারির সময় যখন মানুষজন উদ্বেগ, একাকিত্বে ভুগছিলেন, তখন তাঁর মাথায় এ জাদুঘর করার পরিকল্পনা আসে। ৪৩ বছর বয়সী উদ্যোক্তা আন্দ্রেয়া বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি যে আমার একটা লক্ষ্য আছে। আর তা হচ্ছে হাসি দিয়ে মানুষকে সুস্থ করা। ধারণাটি সরাসরি হৃদয় থেকে এসেছিল।’

আন্দ্রেয়া বলেন, তাঁর সাত বছর বয়সের সময়কার চিন্তামুক্ত জীবন এ জাদুঘর তৈরিতে তাঁকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম গ্রেডে পড়ার সময়কার আমার একটি ছবি ছিল, যাতে বড় দাঁত বের করে হেসে লুটোপুটি খেতাম। আমি শিশু বেলায় সব সময় মজা করতাম।’

জাদুঘরে ঢুকে দর্শনার্থীকে একটি বোতাম চাপতে হয়, যাতে জীবনের নেতিবাচকতা থেকে তিনি মুক্তি পান। এরপর জাদুঘরে ঢুকলে আটটি আলাদা অংশগ্রহণমূলক ক্ষেত্র পাওয়া যাবে। সেখানে রাবারের মুরগি, বেতাল সুরের কারাওকে কিংবা সুমো কুস্তির মতো ব্যবস্থাও রয়েছে।

থিয়েটার, চলচ্চিত্র বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাচীনকাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত হাস্যরসের কিছু গুরুতর ইতিহাসও জানার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এখানে নানা উপায়ে বিভিন্ন ধরনের হাস্যরসের ধরন জানার সুযোগও রয়েছে।

জাদুঘরটি কিছু পছন্দের ওয়ান-লাইনারের সাহায্যে শব্দের খেলা, চড় মারা, টয়লেট এবং অন্ধকার হাস্যরস থেকে শুরু করে ব্যঙ্গাত্মক হাস্যরসের ধরনগুলোও ব্যাখ্যা করে।

আন্দ্রেয়া বলেন, শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সী লোকজনকেই আকর্ষণ করছে হাহা হাউস। বয়স্করা এখানে এসে তাঁদের ছেলেবেলা আবার খুঁজে দেখার সুযোগ পান। যাঁরা নিজেদের ভেতরের শিশুকে এখনো অনুভব করেন, তাঁরা এখান থেকে রিচার্জ হতে পারেন।

জাদুঘরে ঘুরতে আসা অবসরজীবন উপভোগ করা ব্রুনো ড্যাডিক বলেন, জাদুঘর ভ্রমণ করে তিনি অত্যন্ত খুশি। এর আগে জীবনে এত হাস্যরস আর উপভোগ করেননি। তিনি বলেন, হাস্যরস আত্মার ওষুধ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ দ ঘর র এ জ দ ঘর র একট

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় ২৬ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

সুব্রত কুমার বিশ্বাস পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রীটি ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ওই বছরের ৯ অক্টোবর শিক্ষক সুব্রতকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্ত করে। তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর তদন্ত কমিটি তাঁকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ভিত্তিতেই রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আইন অনুযায়ীই হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা
  • নিশ্ছিদ্র দাপটে উরুগুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে ও অলিম্পিকে ব্রাজিল
  • যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
  • প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে
  • চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
  • নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে, কোথায়
  • সাংলাং থেকে বেডং, সমুদ্র আমাদের সাথী  
  • আর রাহিকুল মাখতুম: এক আশ্চর্য সিরাতগ্রন্থ
  • ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার