দুই সপ্তাহের বেশি সময় পর কোচের সঙ্গে বিদ্রোহ করা ১৮ নারী ফুটবলার আজ বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তারকে তাঁদের অনুশীলনে ফেরার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ফুটবলারদের এমন সিদ্ধান্তের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কোচ পিটার বাটলার বলেছেন, এসব নিয়ে তিনিও আর ঝামেলা চান না।

আজ বিকেলে বাফুফে ভবন থেকে বেরিয়ে আসার পথে ১৮ ফুটবলারের ফেরা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কোচ বলেন, ‘দেখুন তারা ফিরলে ভালো। আমি এসব নিয়ে আর কোনো ঝামেলা চাই না।’

২৬ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী দল। ২ মার্চ একই দলের সঙ্গে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ। এই দুই ম্যাচ সামনে রেখে কয়েক দিনের মধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করবেন পিটার বাটলার।

আরও পড়ুনবিদ্রোহের অবসান, অনুশীলনে ফিরতে রাজি নারী ফুটবলাররা৪ ঘণ্টা আগে

তার আগে মেয়েদের ফিরে আসার খবরটা যে তিনি ভালোভাবে নিতে পারেননি, ইংলিশ কোচের কথায়ও তা অনেকটা স্পষ্ট। অবশ্য জানা গেছে, অনুশীলনের মধ্যে ছিলেন না বলে আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে বিদ্রোহীদের বিবেচনা করা হবে না।

কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন সাবিনারা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ