বগুড়ায় ‘কার্বন নিঃসরণ কমাও, বিশ্ব বাঁচাই’ স্লোগানে সাইকেল শোভাযাত্রা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে এ আয়োজন করে।
সরকারি আজিজুল হক কলেজ চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ চত্বর ঘুরে বনানী চত্বর প্রদক্ষিণ করে। কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে এ আয়োজন শেষ হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

শওকত আলম মীর।
তীরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হোসেন রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার পেছনে কার্বন নিঃসরণ দায়ী। মাত্রাতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কার্বন নিঃসরণ ক্রমাগত বাড়ার কারণে নানাভাবে প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ওয়াহেদ সরকার, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, তীরের উপদেষ্টা শাহজাহান আলী, তনুশ্রী পাল, অরুপ রতন পাল, মতিউর রহমান, জুয়েলুর রহমান, উজ্জ্বল প্রামাণিক প্রমুখ। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক র বন ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ

নারী বিষয়ক কমিশনের রি‌পোর্ট‌কে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ ক‌রে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন বাংলা‌দেশ জামায়া‌তে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্প‌তিবার (১ মে) নি‌জের ও দ‌লের ফেসবুক পে‌জে এ কথা ব‌লেন তিনি।

এতে তি‌নি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন‌্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তি‌নি।

আরো পড়ুন:

প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির

দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান

জামায়াত আমির ব‌লেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”

“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”

“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” ব‌লেও দা‌বি ক‌রেন তি‌নি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ