দীঘির সঙ্গে একই কাণ্ড করলেন সিয়াম!
Published: 23rd, February 2025 GMT
প্রেমিকা বিট্রে করেছে, বেঈমানী করেছে; তার বিয়েবাড়ির সামনে এসে তার ছবিতে এভাবে প্রেমিকের প্রস্রাব করে যাওয়া- এমন পাগলামী বাংলাদেশী সিনেমায় দেখা যায়নি আগে। পুরোপুরি এমন ‘ম্যাডনেস’ দেখা গেল নায়ক সিয়ামের বেলায়। এর আগে ‘দহন’ সিনেমার ‘মাতাল হয়ে হিসু করব দেয়ালে’ গানেও এমন কাণ্ড করেছিলেন সিয়াম। এবার সেই পাগলাটে দৃশ্য দেখা গেল জংলি সিনেমার প্রি-টিজে।
গতকাল হুট করেই জংলি টিম প্রকাশ করে একটি ট্রিজার। সিনমাটির টিম দাবি করছে এটা প্রি-টিজ। মানে টিজারের পূর্ববর্তী ভার্ষন। সিনেমাটির কো প্রডিউসার মুক্তার ইবনে রফিক দাবি করেন, বাংলাদেশে ঈদের সিনেমায় যেখানে এখন টিজার আর ট্রেলারই দেয় না সিনেমাগুলো, দুটো মিলিয়ে দেয় ফোরটেস্ট টাইপের কিছু। সেখানে জংলি টিম প্রি-টিজও ছাড়ছে! নিঃসন্দেহে এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য দারুণ সংযোজন।
প্রি-টিজে দারুণ এক সিয়ামকে দেখা গেছে। যে সিয়াম জংলি, প্রেমিকাকে না পেয়ে মানুষ কতটা জংলি হয়ে উঠে তারই আভাস পাওয়া গিয়েছে এতে।
সিনেমাটিতে নায়িকা মূলথ দুইজন। একজন শবনম বুবলী অন্যজন দীঘি। জংলি টিম এখন পর্যন্ত প্রচার-প্রচালণায় কেবল দীঘিকেই টানছেন । বুবলীকে কৌশলগত কারণে আড়ালে রেখেছেন বলেই জানালেন তারা।
গতকাল প্রকাশিত প্রি টিজ নিয়ে পরিচালক এম রাহিম বললেন, জংলি সিনেমায় ভারপুর অ্যাকশন, ও রোমান্স থাকবে সেটা আগেই বলেছিলাম। আমরা এমন প্রি টিজ প্রকাশ করে সেসবেরই জানান দিচ্ছি। আমি আহ্বান করব, ঈদে সিনেমা হলে আসুন। জংলি দেখুন। আশা করি কেউ নিরাশ হবেন না। এই সিনেমার সব কিছুর উপরে গিয়ে দারুণ একটা গল্প পাবেন সবাই।’
এর আগে সিয়ামকে নিয়ে ‘শান’ নামে একটি ছবি বানিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এম রাহিম। সিয়ামের সঙ্গে বুবলী এবং দীঘি ছাড়াও আরও আছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু।
ছবির সংগীত পরিচালনা করছেন প্রিন্স মাহমুদ। একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। সংশ্লিষ্টরা জানান, গানে থাকছে আরও চমক।
সিয়াম আগেই জানিয়েছেন, অভিনেতাদের জীবনে মাঝে মাঝে এমন চরিত্র আসে, যার কারণে সে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। “জংলি” তার জীবনে তেমনই এক চরিত্র হয়ে এসেছে।
বলেন, চুল-দাড়িতে এক্সটেনশন লাগালেই হতো, তবু প্রায় সাত মাস চুল-দাড়ি কাটিনি। এক বছর চরিত্রটাকে আগলে রেখেছি। চরিত্রটাকে যাপন করতে চেয়েছি, দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিতে চেয়েছি। আমি সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করেছি।
ছবির গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
বাসাবাড়িতে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু নিয়োগ বন্ধে আইন করার সুপারিশ
বাসাবাড়ির কাজে তথা গৃহকর্মে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়োগ বন্ধে কঠোর আইন করার পাশাপাশি কার্যকরভাবে তা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন।
বাংলাদেশ জাতীয় শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজ করানো হলে তা শিশুশ্রমের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হয়। এ ছাড়া গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণনীতি ২০১৫-তে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে গৃহকর্মে নিয়োগ করা যাবে না।
শ্রম সংস্কার কমিশন এ প্রসঙ্গে বলেছে, গৃহকর্মে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়োগ বন্ধে কঠোর আইন করতে হবে। একই সঙ্গে এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়নেও গুরুত্ব দিতে হবে সরকারকে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, সেখানে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহশ্রমিকদের বাংলাদেশ শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করে শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিতে হবে। এর আগপর্যন্ত নিশ্চিত করতে হবে ‘গৃহকর্মীর কল্যাণ ও সুরক্ষা নীতিমালা–২০১৫’–এর যথাযথ বাস্তবায়ন।
নিয়োগের ক্ষেত্রে আবাসিক, অনাবাসিক, খণ্ডকালীন বা স্থায়ী—সব ধরনের গৃহশ্রমিকদের জন্য কর্মঘণ্টা, বেতন, ছুটি, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুবিধা উল্লেখ করে একটি স্বচ্ছ ও নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্মসংস্থান চুক্তি প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে শ্রমিকের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি কার বরাবর, কোন স্থানে এবং কীভাবে দায়ের করবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
গৃহশ্রমিকদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মাধ্যমে গৃহকর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া গৃহকর্মীদের সংগঠন বা ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রদানেরও সুপারিশ করেছে কমিশন।
পারলারের কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নেওয়ার পরামর্শ
এদিকে বিউটি পারলার খাতের শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে এ খাতের কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা ও তাঁদের সন্তানদের জন্য শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র বা ডে কেয়ার সুবিধা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতের কথা বলেছে কমিশন।
অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ খাতে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠনের সুপারিশও করেছে কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মীদের কাজের মান ও ঝুঁকি বিবেচনা করে সুনির্দিষ্ট মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা এবং তাঁদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতি কাঠামো তৈরি করতে হবে।
দেশের সব বিউটি পারলার শ্রমিকদের পেশাগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা সুরক্ষার জন্য শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।
বিউটি পারলারের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করাসহ সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা নির্দেশিকা প্রণয়নের কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিউটি পারলারের কর্মীদের বড় একটি অংশ রাতে বাসায় ফেরে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে ও রাত্রিকালীন বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের হয়রানি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব শ্রমিকের সামাজিক মর্যাদা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।